বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই মাসের মজুরি বকেয়া আন্দোলনে শ্রমিকরা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ সম্পন্ন হলেও দুই মাসের মজুরি পায়নি শ্রমিকরা। বকেয়া আদায়ে গতকাল বিক্ষোভ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তারা।

জানা যায়, দুই মাস আগে সরকারের কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজ শেষ হলেও মজুরি পায়নি এ এলাকার শ্রমিকরা। কয়েক দিন ধরে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘদিন পরও মজুরি না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিকরা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মজুরির দাবিতে তার ইউএনওর কার্যালয় চত্বরের সামনে অবস্থান নেন। চিলমারী ইউএনও মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।

 আশা করি, দ্রুত তাদের মজুরি পাবেন।

জানা যায়, চিলমারী উপজেলার ছয় ইউনিয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের বাস্তবায়নে প্রথম পর্যায়ের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের (ইজিপিপি) ৪০ দিনের কাজ শেষ হয়। পরে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে কাজ দুই মাস আগে শেষ হলেও ছয় ইউনিয়নের ১ হাজার ৮৫২ জন শ্রমিক ২৫ দিনের মজুরি পাননি। এর মধ্যে রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ২৬১ জন, নয়ারহাটে ২৯৩, থানাহাটে ৩৯০, রমনা মডেলে ৩০৩, চিলমারীতে ১৬৩ ও অষ্টমীরচর ইউনিয়নে ৪৪২ জন শ্রমিক রয়েছেন। থানাহাট ও রমনা ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্পে কাজ করা শ্রমিকরা জানান, তারা সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজ করেন। প্রতি বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহের কাজের বিল একসঙ্গে দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। পুরো ৪০ দিন কাজ শেষ হলে মাত্র ১৫ দিনের কাজের মজুরি দেওয়া হয়। এরপর পুরো দুই মাস চলে গেলেও বাকি বিল আর দেওয়া হচ্ছে না। মাছাবান্দা এলাকার শ্রমিক ফুলমতি জানান, ‘আমরা দিন আনি দিন খাই। সপ্তাহে পাঁচ দিন হিসাবে ৪০ দিনের কাজে প্রায় দুই মাস লেগেছে। এ সময়ে অন্য কোনো কাজও করতে পারিনি। ধার করে, দোকানে বাকি রেখে খাওয়া-পরা চালাইছি। এখন সবাই টাকা চাচ্ছে। কিন্তু বিল পইনি। পাওনাদারদের টাকা দিতে না পেরে বিপদে আছি।’ শ্রমিক মঞ্জু জানান, ‘রমজান আসছে তার ওপর দুই মাসের বেশি সময় পার হইলো মজুরি দিচ্ছে না। হামরা আর চলতে পারছিনারে বাবা। হামার কষ্ট কাই দেখে।’

সর্বশেষ খবর