বুধবার, ২৯ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদেশে নেওয়ার নামে প্রতারণা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

মালয়েশিয়ায় লোভনীয় চাকরির প্রলোভনে পড়ে বাপ-বেটার প্রতারণার খপ্পড়ে সব হারিয়েছে সিরাজগঞ্জে ২২ যুবক। জনপ্রতি ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে প্রতারক বাপ-বেটা। টাকা ফেরতের দাবিতে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগসহ প্রতারকের বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। অভিযুক্তরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির বড় সারটিয়া গ্রামের আতাব ও তার ছেলে সবুজ আলী। প্রতারণার শিকার রায়হান আলী ও মনিরুল ইসলাম জানান, আতাব আলীর ছেলে সবুজ দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থাকার পর গত বছর ছুটিতে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে প্রচারণা চালায় মালয়েশিয়া তাদের কোম্পানি রয়েছে। সেখানে লোক নিয়োগ করা হবে এবং থাকা-খাওয়া ফ্রিসহ মোটা অঙ্কের বেতন দেওয়া হবে। প্রতারক বাপ-বেটার কথায় সরল বিশ্বাসে গত বছর বড়সারটিয়া, সয়দাবাদ, বালুকুল, ভারাঙ্গা, রয়নাপাড় ও বাগবাড়ি গ্রামের অন্তত ২২ জন যুবক জনপ্রতি প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার করে টাকা দেন। টাকা দেওয়ার পর ভুয়া মেডিকেলেও করান তারা। প্রায় এক বছর পার হলেও তাদের মালয়েশিয়ায় নেওয়া হয়নি।

এ অবস্থায় টাকা ফেরত চাইলে উল্টো পুলিশি হয়রানিসহ নানা হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।

ভুক্তভোগীরা হলেন- ইউসুফ আলী, জাকির হোসেন, আসাদুল, বুলবুল মির্জা, আবু সামা, ছানোয়ার হোসেন, সোহান রানা, আবু সাঈদ, খালেক, সাইদুল ইসলাম, আল-আমিন, রবিউল ইসলাম, আল-আমিন ও আবুল হোসেন আকন্দ। তারা জানান, ‘প্রতারক বাপ-বেটার খপ্পড়ে পড়ে প্রত্যেকে জায়গা-জমি বিক্রি ও ঋণ করে করে টাকা দিয়েছি। সব টাকা নিয়ে প্রতারকরা লাপাত্তা হয়ে গেছে। আমরা স্বর্বশান্ত হয়ে পড়েছি।’ ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে প্রতারক চক্রকে গ্রেফতারপূর্বক টাকা উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক শমর কুমার আচার্য্য জানান, প্রতারক চক্র আতাব আলী ও ছেলেসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ১৬ জনের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ থেকে ১ লাখ ৭০ টাকা করে নিয়েছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর