শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে স্বাস্থ্যসেবা উদ্বোধন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে বৈকালিক বিশেষ স্বাস্থ্য কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের জেনারেল হাসপাতালের ডক্টরস ক্লাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ, রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শহিদুল্লাহ্ লিংকন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিনহাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জ, সাধারণ সম্পাদক খালেক ফারুকসহ সব বিভাগের চিকিৎসক, সেবিকাসহ সেবা গ্রহণকারী ও ইলেকট্রনিকস প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। কনফারেন্স শেষে হাসপাতালের চেম্বারে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা চালু ও রোগী দেখেন চিকিৎসকরা। স্বল্প খরচে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা নিতে পেরে খুশি রোগী ও তাদের স্বজনরা। সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন বিকাল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।

এ সময় মেডিসিন, হৃদরোগ, গাইনি, সার্জারি, অর্থ সার্জারি ও শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা হাসপাতালের রোস্টার অনুযায়ী হাসপাতালের নির্ধারিত চেম্বারেই রোগী দেখবেন। এসব রোগী সরকারি মূল্যে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ বিভিন্ন সেবা পাবেন। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি জেলায় এ বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবার উদ্বোধন করা হয় এবং এতে কুড়িগ্রাম জেলা রয়েছে। উদ্বোধনের পর রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, এখন থেকে রোগীরা বাইরে কোনো ডাক্তারের চেম্বারে না গিয়ে রোগী না দেখে নিজস্ব হাসপাতালের চেম্বারে যৎসামান্য খরচে ডাক্তার দেখাতে পারবেন। পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সরকারি খরচে হাসপাতালেই করতে পারবেন। কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন থেকে কুড়িগ্রামের রোগীরা প্রাইভেট চেম্বারে না গিয়ে হাসপাতাল কেন্দ্রিক চিকিৎসাসেবা নিতে পারবে। এতে কুড়িগ্রামের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা কম খরচে নিতে পারবে। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ জন্য ধন্যবাদ জানান। শেষে বিকাল ৫টার দিকে প্রথমদিনের মতো নির্ধারিত মেডিসিন, সার্জারি ও পেড্রিয়াটিক জুনিয়র কনসালটেন্টরা নয়জন রোগীকে দেখেন। এ সময় মেডিসিন ও লিভার বিশেষজ্ঞ ডা. মইনুদ্দিন আহমেদ জানান, এখন থেকে বৈকালিক স্বাস্থ্যসেবা আমরা যথাযথভাবে এ অঞ্চলের মানুষকে সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে রোগী রেফার্ড পদ্ধতিতে দিলে রোগীদের রোগ শনাক্তে আরও সুবিধা হবে যা বিদেশের অনেক দেশে বিরাজমান। এ পদ্ধতি ধীরে ধীরে আমাদের জেলায়ও চালুর দাবি জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর