তিস্তার ধু-ধু বালুচরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ হচ্ছে। ‘খরচ ও পরিশ্রম কম হওয়ায় এবং ভালো ফলনের আশায় চরের অধিকাংশ কৃষকরাই পিঁয়াজ চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। সহজ সেচ ব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের নিশ্চয়তা পেলে চরের পিঁয়াজ চাষ আরও বৃদ্ধি পাবে। চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে বন্যা পরবর্তী ফসল হিসেবে ৬৫ হেক্টর জমিতে পিঁয়াজের চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং রোগ বালাইও কম হওয়ায় পিঁয়াজের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। কয়েক বছর পিঁয়াজের সংকট এবং দাম বেশি হওয়ায় তিস্তা চরের কৃষকরা অন্যান্য ফসলের চেয়ে পিঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরে পিঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। খালিশা চাপানী ইউনিয়নের কৃষক নূর ইসলাম বলেন, ৩ বিঘা জমিতে পিঁয়াজ চাষ করেছি। ১৫০০ টাকার বীজ কিনে রোপণ করে শতক প্রতি এক থেকে দেড় মণ পিঁয়াজের আশা করছি। ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী বলেন, তিস্তার জেগে ওঠা চরে এখন বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ হচ্ছে। মসলা জাতীয় এই ফসলে কৃষকরা সব সময় লাভবান হয়ে থাকেন। চরের কৃষকদের ভালো ফলনের জন্য কৃষি বিভাগ সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদান করছে।