রবিবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

আড়াইহাজারে ঈদের বেচাকেনায় মন্দা

আড়াইহাজার প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এখনো পুরো দমে জমে ওঠেনি ঈদ বাজারের কেনাবেচা। ইতোমধ্যেই ১৬ রোজা পার হয়ে গেছে। উপজেলা সদরে শপিং মলগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়লেও সেই অনুপাতে কেনাবেচা পরিলক্ষিত হয়নি। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমনি চিত্র। উপজেলা সদরে শপিং মল রয়েছে ১০টিরও বেশি। শপিং মলগুলো হচ্ছে- দুবাই, প্লাজা, পিংকি সুপার মার্কেট, হাবিব সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, শাহাজালাল সুপার মার্কেট, ইদ্রিস ম্যানশন, ভাই ভাই প্লাজা, খান মার্কেট, খোরশিদ আলম সুপার মার্কেট, কাদির সুপার মার্কেটসহ আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট মার্কেট। এর মধ্যে হাবিব সুপার মার্কেট জুতা এবং মহিলাদের প্রসাধনী বিক্রির জন্য পরিচিত। বাকি সব মার্কেটে কম বেশি সবকিছু পাওয়া যায়। দুবাই প্লাজায় অবস্থিত বাচ্চাদের পোশাকের জন্য পরিচিত বেবি টাচ শপিং সেন্টারের মালিক কুদ্দুস ভূঁইয়া জানান, আমার দোকানে বাচ্চাদের নানা রকম পোশাক আছে।

এর মধ্যে কটি সেট, সিঙ্গেল শার্ট, সিঙ্গেল প্যান্ট, গেঞ্জির সেট, ইন্ডিয়ান নারাগাট, পাখি ড্রেস, সুতি জামা রয়েছে যেগুলো ৪০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হয়ে থাকে।

তবে ক্রেতার ভিড় বাড়লেও বেচাকেনা এখনো পুরো দমে জমে ওঠেনি। দুই-এক দিনের মধ্যে কেনাবেচা জমে উঠবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই মার্কেটের ব্যবসায়ী আরমান জানান, তার দোকানে প্রতিটি শাড়ি ৪৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার ৫০০ টাকায়, লুঙ্গি ৩০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায় এবং বড়দের ড্রেস ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার ৫০০ টকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ফুটপাথের দোকানগুলোতে কেনাবেচা ভালই জমে উঠেছে বলে জানান খসরু মার্কেট নামে পরিচিত হকার্স মার্কেটের একাধিক দোকানি। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদ উপলক্ষে জামা কাপড়ের দাম অনেক বেশি হাঁকা হচ্ছে। তাই দাম যাচাই করার জন্য অনেক দোকান ঘুরতে হচ্ছে। আর সে জন্যই দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ের অনুপাতে বেচা বিক্রি কম হচ্ছে। ২-৩ দিনের মধ্যে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে বলে দোকানিরা আশা প্রকাশ করেছেন। আড়াইহাজার থানার ওসি মুহাম্মদ এমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, মার্কেটে আমরা পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।

সর্বশেষ খবর