বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা

মেহেরপুর প্রতিনিধি

তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা

ভাটা তৈরির জন্য রাখা নির্মাণসামগ্রী -বাংলাদেশ প্রতিদিন

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের উত্তরপাড়া আমদহ সড়কের পাশে তিন ফসলি জমিতে অনুমোদন ছাড়াই ইটভাটা নির্মাণ কাজ চলছে। ইতোমধ্যে মাটির স্তূপ ও ইটের গাঁথুনি দিয়েছেন মালিক। আশপাশের জমিতে এখনো ধান রয়েছে। মাত্র ৫০০ গজের মধ্যে রয়েছে ঘনবসতি, খেলারমাঠ, মসজিদ। এ ছাড়া একই মালিকের আরেকটি ইটভাটা পাশেই আছে। সেটিও চলছে অবৈধভাবে। এভাবে একের পর এক ইটভাটা নির্মাণে হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার চাষাবাদ। জানা গেছে, ইটভাটাটি নির্মাণ করছে মোনাখালী গ্রামের লাবলু মিয়া ও মেহেরপুর শহরের কোর্টপাড়ার আলী আকবর নামে দুই ব্যক্তি। এ বিষয়ে লাবলু মিয়া বলেন, মেহেরপুরে কোনো ইটভাটার কাগজপত্র ঠিক নেই। সবাই যেভাবে ম্যানেজ করে চলছে আমিও সেভাবে চলব। পরিবেশ অধিদফতর সূত্র জানায়, কোনো ব্যক্তি ভাটা নির্মাণ করতে চাইলে তাকে প্রথমে অবস্থানগত ও পরিবেশগত ছাড়পত্র নিতে হয়। অবস্থানগত ছাড়পত্র পাওয়ার আগে ওই জমিতে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণের সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রয়োজন জেলা প্রশাসকের অনুমোদনও। তার কোনোটিই নেই নির্মাণাধীন ভাটার। কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পরিবেশ অধিদফতরের দাবি, তিন ফসলি জমিতে ভাটা নির্মাণের জন্য অবস্থানগত ছাড়পত্র দেওয়ার বিধান নেই। এ রকম ঘটনা ঘটলে নির্মাণকাজ তৎক্ষণিক বন্ধ করার জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। পরিবেশ অধিদফতরের মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক অফিসের সিনিয়র কেমিস্ট হাবিবুল বাসার বলেন, এভাবে ইটভাটা নির্মাণের কোনো সুযোগ নেই। কোনো জমিতে ইটভাটা নির্মাণের আগে কয়েক জায়গা থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। সেগুলো না নিলে সেটি অবৈধ বলে গণ্য হবে। মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ ধরনের ইটভাটা বন্ধ করতে আমাদের অনেক চাপ সহ্য করতে হয়। বন্ধ করলেও আবার চালু হয়ে যায়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর