শনিবার, ২০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

খাল সংস্কারের অভাবে ফসলহানি

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১২টি খাল সংস্কারের অভাবে প্রতি বছর ২১ কোটি টাকার ফসল কম উৎপাদন হচ্ছে। এসব ফসলের মধ্যে রয়েছে আউশ, আমন, বোরো, ভুট্টা, সূর্যমুখী, সরিষা ও বিভিন্ন ধরনের সবজি। এক যুগের অধিক সময় ধরে খালগুলো বেদখল, হাজামজা, কচুরিপনা আটকে থাকা ও পানি প্রবাহ না থাকায় ১১টি ইউনিয়নে খালসংলগ্ন আড়াই হাজার একর জমিতে শতভাগ ফসলহানির ঘটনা ঘটছে। উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নে খালের সংখ্যা বেশি। এ ইউনিয়নগুলো থেকে প্রবহমান সরকারি ২৫টি খাল খনন, দখলমুক্ত ও সংস্কার করা জরুরি। এর মধ্যে ফসল উৎপাদনের বিষয় বিবেচনায় সম্প্রতি উপজেলা কৃষি দফতর ১১টি খাল সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন।

 ৫ মিটার চওড়া এ খালগুলোর দৈর্ঘ্য (সংস্কার প্রয়োজন) প্রায় ২৭ কিলোমিটার। জনগুরুত্বপূর্ণ এসব খালের মধ্যে রয়েছে দক্ষিণ তেলিগাতী খাল, শুভরাজকাঠি খাল, বুড়িরবাড়ির খাল, কালিকাবাড়ি খাল, শকুন্তলা খাল, দয়ার খাল, মাজের খাল, ঋষির বাসা খাল, জব্বর আলী খাল, মিয়ার খাল, কাটা খাল উল্লেখযোগ্য। কৃষি দফতরের দেওয়া তথ্যমতে, আপাতত ১১টি খাল খনন ও সংস্কার করা গেলে পুনরায় ফসলি জমিতে পরিণত হবে ২ হাজার ৩০০ একর জমি। এসব জমিতে আউশ, আমন, বোরো, সূর্যমুখীসহ নানা ধরনের অর্থকরী ফসল ফলবে। যার বার্ষিক অর্থমূল্য ২১ কোটি টাকা। সময়ের পরিবর্তনে অনেক খাল ভরাট হয়ে অস্তিত্ব হারিয়েছে। অন্যদিকে প্রভাবশালী ঘের মালিকরা তাদের সুবিধামতো কিছু খালে বাঁধ দিয়ে দখল করে নিয়েছেন। দখলে থাকা খালগুলো উদ্ধারের জন্য উপজেলা পরিষদের আইনশৃঙ্খলা সভায় বহুবার সিদ্ধান্ত হলেও তা অজ্ঞাত কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন, কৃষিনির্ভর এ উপজেলার অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ খাল সংস্কারের অভাবে কোনো উপকারে আসছে না। ফসল উৎপাদন কমে গেছে। অনেক খাল কচুরিপনায় ভরে রয়েছে। কিছু খাল তদারকির অভাবে বেদখল অবস্থায় আছে। এর মধ্যে ১১টি খাল দ্রুত পুনঃখননের জন্য কৃষি বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে খননের জন্য দেওয়া খালগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭ কিলোমিটার। চওড়া ৫ মিটার। এ ২৭ কিলোমিটার খাল খনন করা হলে মোরেলগঞ্জে বছরে ২১ কোটি টাকার ফসল উৎপাদন বাড়বে।

সর্বশেষ খবর