বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফের দেবে গেল কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

ফের দেবে গেল কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক

সংস্কারের মাত্র এক মাসের মাথায় আবারও দেবে গেছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থান। দেবে সড়কের কয়েক স্থানে আধাহাত গভীর ও দুই থেকে তিন শ মিটার দৈর্ঘ্যরে সরু নালা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সড়কটি নির্মাণের পর ৮ থেকে ১০ বার দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। বারবার দেবে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উল্টে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যানবাহন। হোঁচট খেয়ে ছিটকে পড়ছেন পথচারীরা। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন এবং জনসাধারণকে এ মহাসড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, পাকা সড়কের নিচের অংশে নির্মাণকাজে অনিয়ম ছিল। সেখানে থলথলে কাদা জমে আছে। সে জন্য বছরে কয়েকবার দেবে যাচ্ছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, গোলচত্বর সংলগ্ন পশ্চিম ও উত্তর পাশের ৪- ৫টি স্থানে সড়ক দেবে কয়েকটি সরু খাল ও ছোট বড় গর্তের মতো সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন এমনকি পথচারীদেরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে সংস্কারের কারণে বারবার দেবে যাচ্ছে সড়ক। একদিকে যেমন সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হচ্ছে। তেমনই সড়কের এ অবস্থার কারণে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। তারা দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি কমাতে এর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করেন মেহেরপুর জেলার ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। ২০১৮ সালে সড়কটির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি দেবে গেলে ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে জুন মাসে দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালে কয়েক বার একই স্থানে আবার সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হলে তা সংস্কার করা হয়। গত ৪ মে সর্বশেষ সংস্কার কাজ করা হয়। বর্তমানে একই স্থানে দেবে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বারবার মহাসড়ক দেবে যাওয়ার কারণ কি এ প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন, অবৈধভাবে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত বোঝাই যানবাহন হার্ডব্রেক করছে। আর এতেই বারবার সড়ক দেবে যাচ্ছে। ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে খুব দ্রুতই স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।

সর্বশেষ খবর