সংস্কারের মাত্র এক মাসের মাথায় আবারও দেবে গেছে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কয়েকটি স্থান। দেবে সড়কের কয়েক স্থানে আধাহাত গভীর ও দুই থেকে তিন শ মিটার দৈর্ঘ্যরে সরু নালা সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সড়কটি নির্মাণের পর ৮ থেকে ১০ বার দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটল। বারবার দেবে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। উল্টে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে যানবাহন। হোঁচট খেয়ে ছিটকে পড়ছেন পথচারীরা। বিকল্প কোনো পথ না থাকায় এক প্রকার বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন এবং জনসাধারণকে এ মহাসড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, পাকা সড়কের নিচের অংশে নির্মাণকাজে অনিয়ম ছিল। সেখানে থলথলে কাদা জমে আছে। সে জন্য বছরে কয়েকবার দেবে যাচ্ছে সড়কের বিভিন্ন স্থান। এতে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সরেজমিন দেখা যায়, গোলচত্বর সংলগ্ন পশ্চিম ও উত্তর পাশের ৪- ৫টি স্থানে সড়ক দেবে কয়েকটি সরু খাল ও ছোট বড় গর্তের মতো সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহন এমনকি পথচারীদেরও ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ অপরিকল্পিতভাবে সংস্কারের কারণে বারবার দেবে যাচ্ছে সড়ক। একদিকে যেমন সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হচ্ছে। তেমনই সড়কের এ অবস্থার কারণে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে। তারা দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি কমাতে এর স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান জানান, প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করেন মেহেরপুর জেলার ঠিকাদার জহুরুল ইসলাম কনস্ট্রাকশন। ২০১৮ সালে সড়কটির পুনর্নির্মাণ করা হয়েছিল। সড়কটি দেবে গেলে ২০২০ সালের জুন মাসে প্রথম সংস্কার কাজ শেষ করে ঠিকাদার। পরবর্তীতে ২০২১ সালে জুন মাসে দেবে যাওয়া অংশ সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালে কয়েক বার একই স্থানে আবার সরু খাল ও গর্ত সৃষ্টি হলে তা সংস্কার করা হয়। গত ৪ মে সর্বশেষ সংস্কার কাজ করা হয়। বর্তমানে একই স্থানে দেবে স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বারবার মহাসড়ক দেবে যাওয়ার কারণ কি এ প্রশ্নের জবাবে প্রকৌশলী বলেন, অবৈধভাবে স্থানীয়দের উদ্যোগে স্পিডব্রেকার দেওয়া হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত বোঝাই যানবাহন হার্ডব্রেক করছে। আর এতেই বারবার সড়ক দেবে যাচ্ছে। ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে খুব দ্রুতই স্থায়ীভাবে এ সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
শিরোনাম
- শেখ হাসিনার রায় নিয়ে যা বলল জাতিসংঘ
- গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনে জাতিসংঘের অনুমোদন, হামাসের প্রত্যাখ্যান
- আমার ছেলের খুনীর ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারি: আবু সাঈদের বাবা
- দিল্লি বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, গ্রেফতার আরও এক কাশ্মীরি
- মালয়েশিয়ায় শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন সাইবারজায়া ইউনিভার্সিটি
- আফ্রিকার ছয় দেশে আছে রুশ সেনার উপস্থিতি: রাষ্ট্রীয় টিভি
- ‘খালেদা জিয়াকে দেশের সেরা জয় উপহার দিতে চাই’
- উইঘুর যোদ্ধাদের চীনের কাছে হস্তান্তর করবে সিরিয়া
- ‘একটি দল ক্ষমতায় যেতে প্রলাপ বকছে’
- সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় পাশে থাকবে চীন
- বগুড়ায় কোলগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান
- শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে যা বলল ভারত
- মোংলায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ বিষয়ক সমন্বয় সভা
- আকাশ প্রতিরক্ষা ও যুদ্ধবিমান চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফ্রান্সে জেলেনস্কি
- অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন
- ভারতের চা, মশলা, আমসহ কয়েকটি পণ্যে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প
- নওগাঁর মান্দায় ধানের শীষে ডা. টিপুর নির্বাচনী পথসভা
- পাঙ্গাস পোনা শিকারের দায়ে জেলের কারাদণ্ড
- পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন কারাগারে
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক