বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব

পাবনা প্রতিনিধি

ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসব

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ভেকু মেশিন দিয়ে কাটা হচ্ছে মাটি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে দিনে ও রাতের আঁধারে নির্বিচারে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করছেন। তারা ভূমি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রির মহোৎসবে মেতেছেন। এতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ বলে মনে করছে কৃষি সংশ্লিষ্ট সচেতন মহল। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের দুধবাড়িয়া-বড়পুকুরিয়া গ্রামে ফসলি জমিতে দিনেরাতে এ পুকুর খননের কাজ চলছে। মাটি ব্যবসায়ী এক ঠিকাদার টুটুল হোসেন বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তিনি ফসলি জমিতে মাটি কাটছেন ও তা বিক্রয় করছেন। তবে লিখিত কোনো ধরনের অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন পুকুর খনন বন্ধ হওয়া দরকার। সম্প্রতি দুধবাড়িয়া-বড়পুকুরিয়া এলাকায় দেখা গেছে ওই গ্রামের মৃত গোলাপ হাজীর ছেলে আদম আলী তার আবাদি প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করছেন। ভেকু চালক আ. রহিম জানান, টুটুল সাহেব তাদেরকে ঘণ্টা চুক্তিতে নিয়ে এসেছেন। জমি খননের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। গত সপ্তাহ খানেক ধরে তারা ফসলি জমিতে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর করে খনন করে ড্রাম ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রিয় করছেন। এতে অনুমোদন না নিয়েই ফসলি জমিতে পুকুর খনন একদিকে সরকারের ভূমি সংরক্ষণ আইনকে যেমন বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো হচ্ছে অন্যদিকে ফসলি জমি সংকুচিত হচ্ছে দিন দিন। জমির মালিক আদম আলী ফসলি জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে স্বীকার করে বলেন, অনুমোদনের বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ীরা বলতে পারবেন। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। এ ব্যপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ফসলি জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে তার জানা নেই। কেউ অভিযোগ দিলে বিষয়টি দেখা হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ফসলি জমিতে অনুমোদনবিহীন মাটি কেটে পুকুর খনন করার বিধান নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর