কলা চাষের উপযোগী জলমুক্ত উঁচু জমি, ভালো ফলন, চাষে কম পরিশ্রম আর ভালো দাম পাওয়ায় কয়েক বছরে দিনাজপুরের কৃষকদের কলা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ দিনাজপুরের ‘দশ মাইল কলার হাট’ থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কলা সরবরাহ হয়ে থাকে। প্রতিদিন এখানে প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্য হয়। এ হাটে দেখা যায়, বাজারজুড়ে সারি সারি কলার কাঁদি সাজানো। প্রতিদিন সকাল থেকেই ব্যস্ত কলা চাষি, ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। ট্রাকে কলা উঠানোর দৃশ্যও দেখা যায়। জেলার সবকটি উপজেলায় কলা চাষ করা হয়। ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ কলা চাষ হয় জেলার সদর, বীরগঞ্জ, চিরিরবন্দর, কাহারোল ও বিরল উপজেলায়। শ্রাবণ মাসে শুরু হয়ে কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কলা বিক্রি চলে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, পিকআপ ও নসিমনে এ হাটে বিক্রির জন্য কলা আনেন কলা চাষি ও ব্যবসায়ীরা। ভোর থেকে কলার হাটে বেচাকেনা শুরু হয়ে চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত। দিনাজপুরের মেহেরসাগর কলার খ্যাতি দেশজুড়ে। পাশাপাশি সবরি, সুন্দরী (মালভোগ), চিনি চাম্পা কলার চাষও হয় এ এলাকায়। কলা চাষে পর্যাপ্ত রোদ ও আলো বাতাসের প্রয়োজন হয়। এবারের আবহাওয়া কলার জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় আবাদও ভালো হয়েছে, জানান চাষিরা। কাহারোলের সুকুমার রায় বলেন, গত বছর দাম কম ছিল। গত বছর যে কাঁদি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার সেই কলা ৪৫০-৫২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। বীরগঞ্জ উপজেলার কলা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, এক বিঘায় ৭০০ পর্যন্ত গাছ লাগানো যায়। রোপণ থেকে ফসল উত্তোলন পর্যন্ত সার-কীটনাশক, পরিচর্যা বাবদ প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতি কাঁদি কলার দাম ৪০০ টাকা হলেও ১ লাখ টাকার ওপরে লাভ থাকে। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী লুৎফর রহমান বলেন, চাষিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলে অনেক সময় অগ্রিম টাকাও দেওয়া হয়। শ্রমিকের মজুরি, ট্রাক ভাড়া সব কিছু বাড়ায় লাভ কমেছে। মিজানুর রহমান জানান, মৌসুমে প্রতিদিন ৭০-৮০ লাখ টাকার কলা কেনাবেচা হয় এ হাটে। প্রতিদিন গড়ে ১৬-২০টি ট্রাক লোড হয়। একটি বড় ট্রাকে সর্বনিম্ন ৭০০ কাঁদি কলা ধরে। ছোট ট্রাকে ৪৫০ কাঁদি কলা ধরে। মৌসুমে এ হাটে লোড আনলোডের কাজ করেন প্রায় ১০০ শ্রমিক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, কলা বর্ষজীবী উদ্ভিদ। কলা চাষে খরচ কম, ঝুঁকি ও রোগবালাই কম থাকায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কলা চাষে। কলার খেতে সাথী ফসল হিসেবে অন্যান্য শাকসবজি চাষ করেও লাভবান হচ্ছেন কৃষক। কলা চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। গত অর্থবছরে খরিপ-১ ও রবি মৌসুমে জেলায় কলার আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ হেক্টর জমিতে। এবার ৩৪ হেক্টর জমিতে কলার আবাদ বেশি হয়েছে।
শিরোনাম
- হাসনাতের ঘোষণার পর শাহবাগ অবরোধ
- কানাডায় হামের প্রাদুর্ভাব
- সিরাজগঞ্জে হামলায় বৈষম্যবিরোধীর ৩ প্রতিনিধি আহত
- তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে, বৃষ্টির সম্ভাবনা কবে জানাল আবহাওয়া অফিস
- পাকিস্তানের ঋণ সহায়তা আজ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ
- শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল সোমবার
- যৌক্তিক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিন : ডা. জাহিদ
- সাতক্ষীরার সীমান্তে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক, সতর্ক বিজিবি
- ‘জুলাই স্পিরিটের’ সাথে প্রতারণাকারীরা আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে : শিবির সভাপতি
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে যা জানাল সরকার
- গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে: সারজিস
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে গণসমাবেশে ছাত্রজনতার ঢল
- বিলবাওকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে ফাইনালে ম্যানইউ
- সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা: অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
- ভারতের ৭৭ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের
- পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে হামলায় নবজাতকসহ নিহত ৫
- শ্রীলঙ্কায় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৬
- যমুনার সামনেই জুমা পড়লেন আন্দোলনকারীরা
- যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
- আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ, তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
আগ্রহ বাড়ছে কলা চাষে
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় সম্পূর্ণ ‘ব্ল্যাকআউট’ জম্মুতে পরপর বিস্ফোরণ, দাবি ভারতের
১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

যে কারণে গভীর পর্যবেক্ষণে ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, রয়টার্সের বিশ্লেষণ
৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম