প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সূর্যের দেখা নেই উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত জনজীবন। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকের শীতকালীন সবজি ও বোরো বীজতলা। তীব্র শীত আর কুয়াশার কারণে পচন ধরেছে আলু, পিঁয়াজ ও রসুন খেতে। ফ্যাকাশে হয়ে মরে যাচ্ছে বোরো বীজতলার চারা। মৌসুমের আলু ঘরে তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। তিন দিন পরপর স্প্রে করেও খেত রক্ষা করা যাচ্ছে না। বোরো আবাদ নিয়েও চিন্তিত কৃষকরা। লালমনিরহাটের সবজি গ্রাম খ্যাত বড় কমলাবাড়ীর কৃষক মাসুদ মিয়া জানান, প্রায় ২৪ দোন (২৭ শতাংশে এক দোন) জমিতে আলু চাষ করেছেন তিনি। ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় খেতে পচন রোগ এসেছে। স্প্রে করা হচ্ছে তিন দিন পরপর। তবুও রক্ষা করা যাচ্ছে না। সূর্যের দেখা মিললে কুয়াশা শুকিয়ে যেত। তখন ক্ষতি কম হতো। তিনি বলেন, প্রতিদিন বিকাল থেকে পরদিন প্রায় দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। এতে আলু খেত রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আলু ঘরে তুলতে আরও প্রায় এক মাস লাগবে। আবহাওয়া এমন থাকলে উৎপাদন খরচ তোলা দায় হয়ে পড়বে। একই গ্রামের চাষি তাজউদ্দিন বলেন, তিন দোন জমিতে আলু লাগাইছি। ঠান্ডায় পচন রোগ এসেছে। ইন্ড্রোফিল ও মাইকা স্প্রে করছি তবুও পচন ছাড়ছে না। এবার বীজের দাম বেশি থাকায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে। গত বছর ২৫ টাকা কেজি দরে বীজ ক্রয় করা হয়েছিল। সেই বীজ এ বছর ৫৫-৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। স্প্রে খরচও বেড়েছে। দোন প্রতি খরচ হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা। আলু চাষি বিল্লাল বলেন, ঠান্ডায় বাহিরে যাওয়া যায় না। আলু খেতে স্প্রে করা এক দিন দেরি হলে পুরো খেত পচে মরে যাবে। ঋণের টাকায় দুই দোন জমিতে আলু চাষ করেছি। খেত মরে গেলে ঋণ পরিশোধ-তো দূরের কথা পরিবারের খাবার জোগানো দায় হয়ে পড়বে। খুনিয়াগাছের কালমাটি গ্রামের কৃষক শফিকুল বলেন, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা ফ্যাকাশে হয়ে চারা মরে যাচ্ছে। সকালে কুয়াশার পানি বিশেষ পদ্ধতিতে চারা গাছ থেকে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। তবুও রক্ষা করা যাচ্ছে না। এমন আবহাওয়া থাকলে বোরো চারার সংকট দেখা দিতে পারে। লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক হামিদুর রহমান বলেন, কুয়াশার কারণে সবজির একটু ক্ষতি হতে পারে। কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে শীতকাটা ওষুধ স্প্রে করার। তারা স্প্রে অব্যাহত রাখায় তেমন ক্ষতির মুখে পড়েনি। তবে উৎপাদন খরচ কিছু বাড়তে পারে। বোরো বীজতলা রাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে সকালে খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। সম্ভব হলে সকালে বীজতলায় পানি ছিটানো যেতে পারে যাতে কুয়াশার পানি চারা গাছের ডগা থেকে নেমে যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি না হলে কৃষিতে বড় কোনো ক্ষতি হবে না বলেও দাবি করেন তিনি।
শিরোনাম
- তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে জবিতে মশাল মিছিল
- রাজধানীতে বিএনপির ব্যতিক্রমী মিছিল
- ডেমরায় ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ নবীউল্লাহ নবীর
- ধানমন্ডি আইডিয়ালে জিপিএ-৫ কমেছে, পাসের হারও নিম্নগামী
- মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে অভিনব জালিয়াতি
- মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে ৭টি প্রাকৃতিক টনিক
- এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেয়ার সুযোগ নেই : ইসি আনোয়ারুল
- বসুন্ধরা সিটিতে ইয়োসো বাংলাদেশের ষষ্ঠ আউটলেটের বর্ণিল উদ্বোধন
- বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল : ডা. জাহিদ
- দেশ মহাসংকটের দিকে এগুচ্ছে: এম. এ. মতিন
- শিয়ালবাড়ির সেই গুদামে প্রাণঘাতী মাত্রায় হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস
- ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় শ্রমিকদের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে: শফিকুর রহমান
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এনসিপি থাকলে ভালো লাগত : আসিফ নজরুল
- হজের নিবন্ধন : কিছু ব্যাংক খোলা থাকবে শনিবার
- দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় লেখক বেক সে-হি মারা গেলেন, কিন্তু বাঁচালেন পাঁচজনকে
- ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে কাজ করতে হবে : আমীর খসরু
- নতুন তারকার খোঁজে বসুন্ধরা কিংস একাডেমি
- কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে মহাসড়কে পাঁচ হাজার মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত শক্তিশালী হবে : সালাহউদ্দিন
- জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল
ঘন কুয়াশায় ফসলের ক্ষতি
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

লাখো মানুষের হাতে মশাল, ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরাঞ্চল
২২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

কেনিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর লাশ দেখতে গিয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে নিহত ৪
১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম