বুধবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অটোরিকশায় যানজট টাঙ্গাইল শহরে

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম ট্রাফিক পুলিশ

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

অটোরিকশায় যানজট টাঙ্গাইল শহরে

টাঙ্গাইল শহরে চলছে কয়েক সহস্র ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা (ইজিবাইক)। অপ্রতুল সড়কে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা চলাচলে শহরে যেমন বেড়েছে যানজট, তেমনি দেখা দিয়েছে চরম বৈদ্যুতিক সমস্যা। এতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে শহরবাসীর জনজীবন। টাঙ্গাইল পৌরসভার লাইসেন্স বিভাগ থেকে জানা যায়, এ পৌরসভায় লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিকশার সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০। রিকশা রয়েছে ৫ হাজার। সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত ওই মেট্রোরিকশাগুলোর পেছনে বা চালকের বসার সিটের নিচে সাঁটানো হয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভার লাইসেন্স। টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বছর মেয়াদি ওই লাইসেন্স ২০২২ সালে দ্বিতীয় দফায় অনুমোদন হয়েছে। কিছু রিকশার লাইসেন্সের মেয়াদ দেখা গেছে ২০২২ থেকে ৩০ জুন ২০২৩। ওই রিকশাগুলোর লাইসেন্সের মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। তৃতীয় দফায় রিকশার লাইসেন্সের মেয়াদ দেওয়া হয়েছে ২০২৩ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২৪ পর্যন্ত। এ ছাড়াও এর আগের পৌর মেয়র দেন ৪ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স। শহরজুড়ে এ সময় লাগামহীন যানজট লেগে থাকায় ওই ৪ হাজার অটোরিকশা চলাচলে দুই সিফট পদ্ধতি চালু করা হয়। এরপর থেকে প্রতি সিফটে ২ হাজার করে অটোরিকশা চলাচল শুরু করে। শহরজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি চলাচল করছে প্রায় ৮ হাজার ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা। এ ছাড়াও রয়েছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৫ হাজার ৫০০ পায়ে চালিত রিকশা। অটোরিকশা দুই শিফট পদ্ধতিতে চলাচল করলেও ৭ সহস্রাধিক মেট্রোরিকশা চলছে দিনব্যাপী। এ ছাড়া সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা, আদালতের যানবাহন, চিকিৎসক ও ব্যক্তি মালিকাধীন গাড়িসহ গড়ে প্রতিদিন তিন সহস্রাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে এ শহরে। ফলে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের বেবিস্ট্যান্ড, শান্তিমুঞ্জ মোড়, মেইন রোড, নিরালা মোড়, পার্কবাজার মোড়, ক্যাপসুল মার্কেট, পুরাতন বাসস্ট্যান্ড, সুপারিবাগান মোড়, কলেজ গেট আর নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় বেধে থাকছে যানজট। যানজট নিরসনে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগী, শিশু, বৃদ্ধ, মহিলাসহ নানা বয়সী যাত্রী আর সাধারণ মানুষ। অটোরিকশাচালক বাবুল মিয়া বলেন, তিন বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছেন তিনি। রিকশা ও গদি আটকে রেখে তাদের লাইসেন্স নিতে বাধ্য করা হয়। অটোরিকশাচালক মো. হযরত আলী বলেন, ২০ হাজার টাকায় তিনি লাইসেন্সটি পেয়েছেন। টাকা নিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তিনি বলেন, লাইসেন্স বইয়ে ইজিবাইক লেখা আছে বলেই তিনি লাইসেন্সটি নিয়েছেন।

চালক রবিউল ইসলাম বলেন, পৌরসভা থেকে মেট্রোরিকশার লাইসেন্স আর নম্বর প্লেট বিক্রি করার সুযোগে তারা এই ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাচ্ছেন। মেট্রোরিকশার চালক রফিক বলেন, ৪৩ হাজার টাকায় পুরাতন এই রিকশাটি কিনেছি। মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা ভাড়ায় লাইসেন্সটি নিয়েছি। রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুস সবুর বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভা থেকে চলাচলের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাগুলোকে পায়ে চালিত রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর