কয়েক দিনের টানা তীব্র গরমে গাইবান্ধায় ডায়রিয়া রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর সঙ্গে বেড়েছে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর সংখ্যা। গতকাল গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ৩১ ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন। শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভর্তি হয়েছেন ছয়জন। এক সপ্তাহে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩০০ জনেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী। শ্বাসকষ্টের রোগী শতাধিক।
স্থানীয়রা বলছেন, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কড়া রোদ, সঙ্গে ভ্যাপসা গরম। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ কারণে জেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। শহরের বেশির ভাগ বাসাবাড়িতে জ্বর সর্দি, শ্বাসকষ্টজনিত ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রয়েছে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন নারী ও শিশুসহ বয়স্করা।
সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ২৫০ শয্যার হাসপাতালে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিটে রোগীরা বিছানা ফাঁকা না পেয়ে হাসপাতালের ফ্লোরে, বারান্দায় ও বেঞ্চে শুয়ে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগীই বেশি।
ভুক্তভোগীরা জানান, এমন রোদ-গরম তারা আগে কখনোই দেখেননি। তার সঙ্গে লোডশেডিং আগুনে ঘি ঢালার মতো অবস্থা। ফলে ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ- এমনিতেই থাকার জায়গা নেই, তার ওপর নোংরা পরিবেশ, থাকে না বিদ্যুৎও। নিরুপায় হয়ে থাকতে হচ্ছে। চিকিৎসা পেলেও বেশির ভাগ ওষুধ কিনতে হয় বাইরে থেকে। যে কোনো টেস্ট করাতে হচ্ছে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। যা বেশি দামে করাতে হচ্ছে।
জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফ উর রহমান বলেন, এক সপ্তাহে এই হাসপাতালে ৩০০ জনেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। শ্বাসকষ্টের রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন শতাধিক। ডাক্তার সংকটসহ নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি বেশি বেশি তরল খাবার ও স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।