বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানারকম অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এতে উপজেলার মানুষ ক্ষুব্ধ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সরেজমিন গিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়মসহ চিকিৎসা সংকট দেখে তীব্র প্রতিবাদ জানান। তারা দেখেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাসেবা ভেঙে পড়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাকিব সরদার জানান, দুপচাঁচিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় পরিবেশসহ খাবারের নিম্নমান দেখা যায়। ওষুধ মজুতের তালিকা নেই। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জেনারেটরটি থাকলেও তা অকেজো। বিদ্যুৎ চলে গেলে রোগীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বিশুদ্ধ পানির টিউবওয়েল থাকলেও তা ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের দুর্ভোগের বিষয়টিও তাদের নজরে আসে। এ ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগও পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, কমপ্লেক্সের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাঈদ মো. আবদুল্লাহ্-আল-হানিফ, সহকারী সার্জন ডা. এ এইচ এম তনয় মোস্তাফিজসহ ২০ জন চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বিল-ভাউচার ক্যাশবুক কম্পিউটার অন্যান্য কাগজপত্র নিজ বাসভবনে সংরক্ষণ করার এবং বাসা থেকে অফিস পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে মহাপরিচালকের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি গাজিউর রহমান জানান, ডাক্তার শামছুন্নাহারের বিরুদ্ধে তিনি নিজেই মন্ত্রী স্বাস্থ্য বিভাগ, সচিব স্বাস্থ্য বিভাগ, মহাপরিচালক মহাখালী ঢাকা, পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন, পরিচালক স্বাস্থ্য বিভাগ রাজশাহীসহ বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ক্যাম্পাস চত্বরের সরকারি গাছ অনিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্তনের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (আবাসিক মেডিকেল অফিসার) ডাক্তার গালিব জানান, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ৪ আগস্ট থেকে ছুটিতে আছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানেন।