ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে বন্দরের লাঙ্গলবন্দ পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে ১৩ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। গতকাল সকাল ৭টায় যানজট শুরু হয়ে বিকালে ৪টা পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল। চট্টগ্রামমুখী দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহীসহ নানা ধরনের যানবাহন মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে পড়ায় এ যানজট হয় বলে জানায় হাইওয়ে পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকালে মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ থেকে চট্টগ্রামমুখী লেনে যানজট শুরু হয়। তা কেওঢালা, মদনপুর, কাঁচপুর, শিমরাইল, মৌচাক, সানারপাড় ও সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে আটকে পড়ে মহাসড়কে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী শত শত বাসসহ নানা ধরনের যানবহন।
সরেজমিনে জানা যায়, সকাল থেকে তীব্র তাপমাত্রা থাকায় এ মহাসড়কে যানজটে রোগী, শিশু-কিশোর, বৃদ্ধ ও নারীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। শিমরাইলের বাস কাউন্টারের কর্মচারী সাগর মিয়া বলেন, ইদানীং এ মহাসড়কে প্রায় সময়ই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বুধবারও ১০ ঘণ্টাব্যাপী তীব্র যানজট ছিল। আজও (গতকাল) একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নোয়াখালী রুটের এক বাসচালক বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে এ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর হাইওয়েতে কোনো পুলিশ দেখা যায়নি। সে সময় ছাত্ররা যানজট নিরসনে কাজ করেছিল। যতদিন তারা কাজ করেছিল ততদিন এ মহাসড়ক যানজটমুক্ত ছিল।’