মাদারীপুর সরকারি শিশু পরিবারে (এতিমখানা) শিশু নির্যাতন, নিম্নমানের খাবার, শিশুদের জন্য সরবরাহ করা মালামাল বিক্রি, শিক্ষক অনুপস্থিতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এর বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এতিম শিশুরা। দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা অস্বীকার করেছেন উপ-তত্ত্বাবধায়ক ও শিক্ষকরা।
শিশু পরিবারে সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। অন্যরাও তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মাদারীপুর শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়ক সাইফুজ্জামান বলেন, খাবারে মেনু অনুযায়ী শিশুদের খাবার দেওয়া হয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হবে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৪ সালে মাদারীপুর শহরের খাগদি এলাকায় এতিম ও অনাথ শিশুদের জন্য সরকারি শিশু পরিবার ভবন নির্মাণ করা হয়। সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনে মাদারীপুর সরকারি শিশু পরিবারে ১০০ আসন রয়েছে। বর্তমানে ভর্তি শিশু আছে ২৭ জন। যদিও কাগজপত্রে দেখানো হয়েছে ৬০ জন। শিশু পরিবারের নিবাসীদের জন্য সপ্তাহে দুই দিন মাংসসহ প্রতিদিন খাবারের জন্য ১০০ টাকা বরাদ্দ থাকলেও অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। পাশাপাশি জামাকাপড়-জুতা-স্যান্ডেল দেওয়া হয় না। সহকারী তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুর রহমান বিভিন্ন সময় শিশুদের নির্যাতন করেন এবং তার বাসার কাজ করতে বাধ্য করান। কাজ না করলে এতিমখানা থেকে শিশুদের বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ শিশুদের।