দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ধানের জমিতে বাণিজ্যিকভাবে হচ্ছে বীজের লাউ চাষ। কম খরচ, চাষ উপযোগী মাটি ও লাভজনক হওয়ায় জেলায় লাউ আবাদ বেড়েই চলছে। বীজ লাউ চাষ করে ব্যাপক লাভবান হওয়ার আশা করছেন বীরগঞ্জের আবু রায়হান। তার খেতের প্রতিটি গাছের ডগায় লাউ ধরেছে। লাউ পাকলে সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করা হবে। আবু রায়হান জানান, জানুয়ারি মাসে লাউ বীজ চাষ শুরু করেছেন। চলতি মাসে পাকা লাউ থেকে বীজ সংগ্রহ করবেন। একেকটি গাছে কমপক্ষে ১৫০-২০০ গ্রাম লাউ বীজ পাবেন। খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
বীরগঞ্জ উপজেলার শীতলাই গ্রামের আবু রায়হান জানান, এ জমিতেই আগে ধান চাষ করেছি। ফলন খুব লাভ হতো না। পোকামাকড়ের আক্রমণও হতো বেশি। সেদিক থেকে বীজ লাউ চাষে ব্যাপক লাভবান হওয়া যায়। অন্য সবজির চেয়েও এতে লাভ বেশি। বিক্রি করতেও কোনো সমস্যা হয় না
তিনি আরও বলেন, এ মৌসুমে এক একর জমিতে বীজ লাউ চাষ করেছি। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। বীজ বিক্রি করে আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা আয় করতে পারব। রায়হান জানান, হাইব্রিড জাতের বীজ উৎপাদনের আগে কয়েক প্রক্রিয়া আছে। এখানে পুরুষ ও স্ত্রী ফুল আছে। এ দুটো নিয়ে পরাগায়ন করি এবং চিহ্নিত করি। খুব সহজ কাজ। যে কেউ এটি চাষ করতে পারেন। কৃষি বিভাগ জানায়, বীজ লাউ চাষে পরিচর্যা ছাড়া তেমন খরচ করতে হয় না। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই চাষ করা যায়। পানি জমে না এমন উঁচু জমি বীজ লাউ চাষের জন্য ভালো।