ঈদুল আজহার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভিড় বাড়ছে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে। দিনাজপুরের বৃহত্তম হাটের মধ্যে কাহারোল, আমবাড়ী, রানিরবন্দর, কারেন্টের হাট, চেড়াডাঙ্গি, খোসালডাঙ্গি অন্যতম। এসব হাটে ইতোমধ্যে জমে উঠেছে কোরবানির পশু কেনাবেচা।
কাহারোল হাট বসে শনিবার। ২-৩ একর জায়গার ওপর অবস্থিত এ পশুর হাটটি। গতকাল দুপুরে এখানে গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চলে দরকষাকষি। ঢাকা, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, নেত্রকোনা, শেরপুর, যশোর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ, জামালপুর, বগুড়া, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়া কেনার জন্য আসেন কাহারোলে। গরু বিক্রেতা হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা চারজন ৮টি গরু নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম একটু বেশি।
ডাবোর ইউপির চামদুয়ারী গ্রামের আনোয়ার হোসেন তিনটি গরু বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন এ হাটে। তিনি গরুগুলো বাড়িতে লালনপালন করেছেন। আনোয়ার বলেন, এবার গো-খাদ্যের মূল্য বেশি। গরুতে তেমন একটা লাভ হবে না। টাঙ্গাইল থেকে আসা ব্যবসায়ী হাসান আলী বলেন, প্রতি বছর কাহারোল হাট থেকে কোরবানির গরু কিনে নিজ জেলায় বিক্রি করি। এ হাটে প্রচুর ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়া পাওয়া যায়। কাহারোল হাটের ইজারাদার শ্যামল রায় জানান, গরু-ছাগল, মহিষ ও ভেড়ার জন্য এ হাটের অনেক সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ, ছাগল কিনতে আসেন প্রতি শনিবার। কাহারোলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আবু সরফরাজ হোসেন জানান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের স্টাফরা হাটের দিন গাভীর প্রেগন্যান্সি ও রোগবালাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবদুর রহিম জানান, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মহাসড়কের পাশে হাট বসানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলায় ৬৮টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। হাট-বাজারগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৩৮টি মেডিকেল টিম কাজ করছে।