সাত বছর আগে নির্মাণকাজ শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চালু হয়নি ছয় তলা নীলফামারী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন রোগীসহ স্বজনরা। হাসপাতালে পর্যাপ্ত শয্যা না থাকায় মেঝেতে রোগী রেখে চলছে চিকিৎসাসেবা।
নীলফামারী গণপূর্ত অফিস সূত্র জানা যায়, ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সম্পূর্ণ ভবনের কাজ শেষ হয়েছে ২০১৯ সালে। নতুন ২৫০ শয্যা ভবনের পাশেই রয়েছে পুরোনো হাসপাতাল। সেখানেই চলছে রোগীদের চিকিৎসা। তবে সেখানে নেই রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় বেড, মানসম্মত টয়লেট ও বসার স্থান।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘এই হাসপাতালে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে রোগীরা সব সময় ভোগান্তির শিকার হন। মেঝেতে শুয়েই তাদের চিকিৎসা নিতে হয়। অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বারান্দায় মেঝেতে। কুন্দপুকুর ইউনিয়নের এক রোগীর স্বজন আতিয়ার রহমান বলেন, ‘চিকিৎসার মান বাড়াতে ও ভালো পরিবেশের জন্য ভবনটি চালু করা প্রয়োজন।’
নীলফামারী জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাকিউজ্জামান বলেন, ‘২০১৯ সালেই ২৫০ শয্যা ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে বিল্ডিং নষ্ট হয়ে যেতে পারে।’
নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু বিন হাজ্জাজ বলেন, ‘ভবন পেয়েছি, কিন্তু ফার্নিচার না থাকায় চালু হচ্ছে না। তবে এর দুটি লিফটের মধ্যে একটি চালু আছে। এভাবেই আংশিক কার্যক্রম চলছে।’