নাটোর, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর- নাটোর : গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে লালপুরের আবদুলপুর রেলস্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে মায়া বেগম (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাজশাহীর নন্দনগাছি এলাকার মৃত মনি হোসেনের স্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মায়া তার শ্বশুরবাড়ি থেকে ছেলের সঙ্গে আবদুলপুর স্টেশনে আসেন রাজশাহীগামী কমিউটার ট্রেনে চড়ার জন্য। ট্রেন আসার মুহূর্তে তারা রেললাইন পার হচ্ছিলেন। ছেলে তাড়াহুড়ো করে প্ল্যাটফর্মে উঠতে পারলেও মায়া ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
নেত্রকোনা : গতকাল সকালে রেলওয়ে পুলিশ খবর পেয়ে জেলা শহরের রাজুর বাজার এলাকা থেকে ট্রেনে কাটা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে। মোহনগঞ্জ রেলওয়ে ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে মোহনগঞ্জগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড়হরন রেলক্রসিং এলাকায় এক বৃদ্ধ ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল মিয়া তাকে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাত দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুব্রত বিশ্বাস বলেন, লোকটিকে ৪-৫ দিন ধরে বড়হরন বাজার এলাকায় দেখা যাচ্ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, অসতর্ক অবস্থায় চলাচলের সময় ট্রেন ধাক্কা দেয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।