মোংলা আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর দিয়ে দেশে এবার শতভাগ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির পরিকল্পনা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে রিকন্ডিশন্ড গাড়িসহ অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানোর ফলে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার অ্যাসোসিয়েশন্ড (বারভিডা) মোংলা বন্দর দিয়ে দেশে শতভাগ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানির এ পরিকল্পনা করেছে। ইতোমধ্যে বারভিডার নেতারা এ পরিকল্পনার কথা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. মাকরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ‘হকস বে অটোমোবাইলস’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান ২০০৯ সালের ৩ জুন মোংলা বন্দর দিয়ে সর্বপ্রথম ২৫৫টি জাপানি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করে। ১৭ বছর ধরেই গাড়ি আমদানি হচ্ছে মোংলা বন্দর দিয়ে। দেশে মোট আমদানির ৭০ শতাংশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এই বন্দর দিয়ে হয়। ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত ৪ বছরে মোংলা বন্দর দিয়ে ৬১ হাজার ৩০৩টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের রাজস্ব আয়ের ৫০ শতাংশ আসে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি থেকে। পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকার সঙ্গে মোংলা বন্দরের দূরত্ব প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এতে মোংলা বন্দরের সঙ্গে কার্যকর সংযোগ তৈরি হয়েছে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের। উন্নত সড়ক যোগাযোগ ও কম সময়ের কারণে আমদানি করা গাড়ি ঢাকায় পৌঁছাতে এখন সময় লাগছে মাত্র ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা। বারভিডার নেতারা শতভাগ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এই বন্দরের মাধ্যমে আমদানির পরিকল্পনার কথা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। বারভিটার এ পরিকল্পনায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত মোংলা বন্দর দিয়ে ৩ হাজার ৪০টি বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। জাহাজজট না থাকা এবং পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার জায়গা থাকায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন এই বন্দর কর্মকর্তা।