বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলা জেলেপল্লিতে শুরু হয়েছে শুঁটকি আহরণ। আলোরকোল, হলদিখালী, কবরখালী, মাঝেরকিল্লা, অফিসকেল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শেলার চরে ৮১ বর্গমাইল এলাকাজুড়ে এ শুঁটকিপল্লি। রবিবার থেকে দেশের সর্ববৃহৎ এ জেলেপল্লিতে শুরু হয়েছে এ শুঁটকি মৌসুম। বন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের অস্থায়ী জেলেপল্লিতে দেশের ৮০ ভাগ শুঁটকি উৎপাদন হয়। কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, পিরোজপুর, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ হাজারের বেশি জেলে-বহরদার সুন্দরবনের চরে অস্থায়ী শুঁটকি জেলেপল্লিতে এসেছেন। সুন্দরবন বিভাগ জানায়, এবার শুঁটকিপল্লিতে জেলে-বহরদারদের জন্য ৯০০ অস্থায়ী ঘর, ১০০টি ডিপো ও নিত্যপণ্যের ৮০টি দোকান ঘর তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুলনার ডুমুরিয়া এলাকার বহরদার (মৎস্য ব্যবসায়ী) রবিন বিশ্বাস বলেন, প্রতি মৌসুমে আমরা ঋণ করে সুন্দরবনের দুবলা শুঁটকিপল্লিতে যাই। এ বছরও ঋণ করে ফিশিং ট্রলারসহ জেলেদের নিয়ে শুঁটকিপল্লিতে এসেছি। সরকারিভাবে আমরা কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাই না। সুন্দরবনে বনদস্যুদের উৎপাত বেড়েছে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় আছি। বনদস্যুদের দমনে সাগরে সার্বক্ষণিক নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের টহল দেওয়ার দাবি জানান এই মৎস্য ব্যবসায়ী।
ডিএফও মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের অস্থায়ী জেলেপল্লিতে দেশের ৮০ ভাগ শুঁটকি উৎপাদন হয়। ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আশা করছি, এবার শুঁটকি খাত থেকে সুন্দরবন বিভাগের ৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে।