শেরপুরে বড় ভাইকে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি কান্দাশেরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। স্ত্রীর সঙ্গে সৎ বড় ভাইয়ের পরকীয়ার সন্দেহ কেন্দ্র করে এ হত্যা বলছেন স্থানীয়রা। একাব্বর মিয়া (২৮) ওই এলাকার মৃত হায়দার আলীর দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে আর ছোট ভাই ফারুক মিয়া তৃতীয় স্ত্রীর ছেলে। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক মিয়া স্ত্রী মাকসুদা বেগমের সঙ্গে বড় ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্ক আছে এমন সন্দেহে প্রায়ই ঝগড়া করতেন। গতকালও ওই বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ফারুক বড় ভাই একাব্বরকে ধারালো রামদা দিয়ে কোপান। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথেই একাব্বরের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন আক্তার জানান, এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে লিটন (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল উপজেলার রায়টা এলাকার পদ্মা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে নৌপুলিশ। লিটন রায়টা ঘোষপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ঈশ্বরদী লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম জানান, লাশের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি কাঁকন বা মণ্ডল বাহিনীর সদস্য।
তার শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে রাজশাহীর বাঘায় পদ্মার চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কাকন এবং মণ্ডল বাহিনীর মধ্যে হামলা ও গুলির ঘটনা ঘটে।এতে স্থানীয় দুজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনার পর থেকে লিটনও নিখোঁজ ছিলেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বলেন, লিটন কাঁকন বাহিনীর সদস্য ছিলেন। কসমেটিকস ব্যবসার আড়ালে কাঁকনের হয়ে নদীপথে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।