হাতে-পায়ে নেই স্বাভাবিক শক্তি। টাইফয়েড জ্বর কেড়ে নিয়েছে তার স্বাভাবিক জীবন। তবুও রয়েছে অফুরন্ত প্রাণশক্তি। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার জামিরা পাড়া এসএম উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির মেধাবী ছাত্র শারীরিক প্রতিবন্ধী শিমুল আহমেদ (১৫) এবার জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার ভালুকা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি বারান্দায় আলাদাভাবে তার বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পারুলদিয়া গ্রামের মো. সাদির মিয়া ও স্ত্রী হাছিনা আক্তারের ছোট ছেলে শিমুল আহমেদ ৭ বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়। এরপর থেকেই তার কোমরের নীচের অংশ এবং দুই হাত আস্তে আস্তে অবশ হয়ে যায়। পিতা চা বিক্রেতা সাদির মিয়া ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে একপ্রকার নিঃস হয়ে গেছেন। তবে সুস্থ হয়ে ওঠেনি তার এ ছেলেটি। তবে ভেঙে পড়েনি শিমুল। শত প্রতিকূলতার মধ্যে চালিয়ে যাচ্ছে জীবনযুদ্ধ। প্রতিবন্ধী শিমুল আহমেদ পারুলদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিএসসি পরীক্ষায়ও ভাল ফলাফল করে। এবার সে জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করবে বলে আশাবাদী।
শিমুল আহমেদ জানায়, হাতে সে তেমন জোর না পেলেও আস্তে আস্তে সব প্রশ্নের উত্তরই দিতে পারবে।
শিমুলের মা হাছিনা আক্তার জানান, শিমুলের লেখা-পড়া করে বড় হওয়ার খুবই ইচ্ছে। কিন্তু তার চলা ফেরার জন্য একজন লোক সব সময়েই সাথে থাকতে হয়। কারণ সে একদমই হাটতে পারে না।
বিদ্যালয়েল প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুল ইসলাম জানান, শিমুল খুবই মেধাবী ছাত্র। স্কুলে সে তার রোল সব সময়েই এক বা দুই রাখতে সক্ষম হয়েছে। আশা করছি সে জেএসসি পরীক্ষায় খুবই ভাল ফলাফল করবে।
বিডি-প্রতিদিন/০২ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ