মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ডিসি খতিয়ানভূক্ত সরকারী অকৃষি খাস জমির দখল নিয়ে বনকর্মী ও খাসিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খাসিয়াদের দাবি তারা ওই জমি বন্দোবস্ত পাবার জন্য আবেদন করেছেন আর বন বিভাগ ওই ভূমি নিজেদের দাবি করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত শুক্র ও শনিবার উপজেলার ভূনবীর ইউনিয়নের দক্ষিন বৌলাছড়া মৌজার ১৭০ দাগ পাহাড়ী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় খাসিয়াদের উপর গুলিবর্ষণ ও তাদের দুটি ঘড় ভাংচুর করা হয়। বনকর্মীদের মারপিটে আহত হয়েছেন চার্লস মূখিম ও ডিকসন নামে দুই খাসিয়া।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ২০ জুলাই আদিবাসী নৃ-জাতিগোষ্ঠী খাসিয়া সম্প্রদায়ের ২৫টি পরিবার বর্ণিত এলাকার ১২৫ একর সরকারী খাস জমি বন্দোবস্তের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ওই ভূমি থেকে খাসিয়াদের দুটি ঘড় উচ্ছেদ প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরদিন শনিবার বন বিভাগ মৌলভীবাজার রেঞ্জ কর্মকর্তা ফিরোজ আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ ও বাহুবল উপজেলার বন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আশপাশের এলাকার প্রায় শতাধিক লোকজন নিয়ে আবারো তাদের উচ্ছেদের চেষ্টা করেন। ওই দিন বেলা ২ টার দিকে বনকর্মীরা গুলিবর্ষণ শুরু করলে খাসিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন ভয়ে পিছু হটলে বন কর্মীরা আদীবাসী চার্লস মুখীম ও ডিকসনকে আটক করে। চার্লস মুকিম এর ভাই লুকাস মুকিম অভিযোগ করেন তার ভাইকে আটকের পর বনকর্মী ও তাদের ভাড়াটে লোকজন ঘটনাস্থলেই তার ভাই ও ডিকসনকে মাটিতে ফেলে বেদম প্রহার করে বন বিভাগের গাড়িতে তোলে নিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন বন বিভাগের সাতগাঁও বিট অফিসার রাসেন্দ্র কুমার দেব এফজি বাদী হয়ে আটককৃত দুই খাসিয়া নেতাকে আসামী করে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ফরেষ্ট রেঞ্জার ফিরোজ আলম চৌধুরী জানান, বর্ণিত ভূমি ডিসি খতিয়ানভূক্ত হলেও এ জমি আমরা রক্ষণাবেক্ষন করছি। এখানে কেউ অবৈধ্য ভাবে ঘড় বানাতে এলে আমরা বাধা দেব।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৩ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন