জেএসসি পরীক্ষায় ফেনী শহরের কেন্দ্র গুলোতে চলছে নকল উৎসব। ৮ নভেম্বর রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া গণিত পরীক্ষায় এই প্রবনতা আরো বৃদ্ধি পাওয়ার আশংকা করছে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
প্রকাশ্য নকল প্রবনতার কারনে সামান্য ব্যক্তিত্ব সম্পর্ণ শিক্ষকরাও বিভিন্ন পরীক্ষার হলে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ইতস্ত বোধ করছেন এবং কেউ কেউ বিভিন্ন উছিলা দেখিয়ে হল ডিউটি থেকে নিজেদের নাম কেটে নিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বা সহকারী শিক্ষকরা তাদের পরিচয় দিয়ে অনাধিকার ভাবে বিভিন্ন হলে প্রবেশ করে তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে দিচ্ছে। নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও বিভিন্ন হলে গিয়ে একই কাজ করায় তারা কিছু বলতে পারছেনা। বাধ্য শিক্ষকের মতো এইসময় তারা হলের বাহীরে পায়চারী করেন। অপর এক শিক্ষক জানান, তিনি তার প্রধান শিক্ষকের চাপ উপেক্ষা করে অন্য হলে গিয়ে নিজ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্তর বলে না দেয়ায় তার ডিউটি কর্তণ করা হয়েছে। আরেক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের আদেশেই তিনি বা তারা বিভিন্ন হলে প্রবেশ করে তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর বলে আসছেন। শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, ছাত্ররা টেবিলের ওপর নকল রেখে প্রকাশ্যে নকল ও করছেন কিন্তু তাদের কিছু করার ক্ষমতা নেই।
এক শিক্ষক নেতা জানান, একটি কেন্দ্রের বিভিন্ন ভবনকে ৩-৪টি কেন্দ্র দেখিয়ে ওই বিদ্যালয় গুলোর প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রধান বানানো হয়। তারাই তাদের ভবন থেকে হেঁটে আরেকটি ভবনে গিয়ে এইসব কাজ গুলো করে থাকেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন কন্দ্রে বা কম্পাউন্ডে যে বিদ্যালয়রের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে সেখানে একই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পরিদর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
এই ব্যাপারে ফেনী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা পিকেএম এনামুল হক জানান, অভিযোগ গুলো আমি শুনেছি। এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসককে ব্যবস্থা নিতে অবহিত করেছি। ফেনী পৌর এলাকার বাহীরে সদর উপজেলার অন্যান্য কেন্দ্র গুলো আমার দায়িত্বে রয়েছে। সেখানে নকলের কোন তৎপরতা নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ নভেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন