বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ এখন বিএনপি-জামায়াত শূন্য। বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা এখন এলাকায় নেই। পুলিশের অব্যাহত আটক অভিযানে সকলে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করছেন। অনেকে কর্মস্থল থেকে বিভিন্ন অযুহাতে ছুটি নিয়েছেন।
শনিবার মধ্যরাত থেকে মোরেলগঞ্জে বিভিন্ন নাশকতা মামলার আসামি আটকের জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। জামায়াত, বিএনপি ও শিবির নেতাদের বাড়ি, অফিস ও কর্মস্থলেও চলছে তল্লাশি। কোথাও কাউকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিএনপি, জামায়াতের উল্লেখযোগ্য নেতারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের চাকুরী, ব্যবসা, স্ত্রী, সন্তান, সংসার সবই পরিত্যক্ত।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাশেদুল আলম বলেন, নাশকতা রোধে দেশব্যাপী অভিযান চলছে। মামলার আসামি ও সন্দেহজনক ব্যাক্তিদেরকে আটক করার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ জব্বার অজ্ঞাত স্থান থেকে মুঠোফোনে বলেন, পুলিশ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে। তবে নিরপরাধ রাজনৈতিক নেতাদেরকে আটক করে কোন সরকারই জনসমর্থন ধরে রাখতে পারেনি।
উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক বজলুর রশিদ বাদশা মুঠোফোনে অভিযোগ করে বলেন, অপরাধীদের আটকের নামে জামায়াতের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সকলকে এলাকা ছাড়া করে দিয়েছে পুলিশ। এভাবে চলতে থাকলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও আইন শৃংখলার উন্নতি আশা করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন বজলুর রশিদ।
বিডি-প্রতিদিন/০৮ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব