গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পলি রানী দাস ওরফে তপতী দাস (২৩) নামে এক গৃহবধূ আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছেন। আশংকাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী সঞ্জয় কুমার দাস পলাতক রয়েছেন।
এ ঘটনায় বাদল চন্দ্র দাস ওরফে সুদিন নামে এক যুবককে জিঙ্গাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে কালিয়াকৈর পৌর এলাকার চন্দ্রা পল্লীবিদ্যুৎ দিঘীর পাড় এলাকার হাজী ফজল মিয়ার ভাড়া বাড়িতে। তবে কিভাবে ওই গৃহবধূর শরীরে আগুন লেগেছে পুলিশ তার কারণ জানাতে পারেনি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ১ নভেম্বর কালিয়াকৈর উপজেলার পল্লীবিদ্যুৎ দিঘীরপাড় এলাকার হাজী ফজল মিয়ার বাড়িতে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার এলনঝুড়ি এলাকার জয় কুমার দাসের ছেলে সঞ্জয় কুমার দাস তার স্ত্রী পলি রানী দাসকে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে আসেন। শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে তপতী দাসের আর্তচিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী ভাড়াটিয়ারা তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। সেখান থেকে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
কালিয়াকৈর থানার ওসি আব্দুল মোতালেব জানান, ওই ঘরে স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। রাতে হঠাৎ দু’জনই ঘর থেকে দৌড়ে বের হন। এসময় ওই গৃহবধূর পরিহিত ম্যাক্সিতে আগুন ছিল। পরে অন্য ভাড়াটিয়ারা তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও জানান, গৃহবধূ শরীরের শতকরা ৯৫ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না। তাই স্বামী তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে না গৃহবধূ নিজেই নিজের শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
ওসি জানান, ওই গৃহবধূ তার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে এমন সন্দেহ করতেন। ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক রয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অগ্নিদ্বগ্ধ তপতী কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার এলনঝুড়ি এলাকার পরেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে। তপতীর বাড়ির লোকজনকে সংবাদ দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৮ নভেম্বর, ২০১৫/ রশিদা