দখল-দূষণে ক্রমেই মরা খালে পরিণত হয়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিয়া নদী। উপজেলা সদর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়কার জলযৌবনা নদী হারিয়েছে নাব্যতা। হারিয়েছে স্রোতের দাপট।
নদীর দু'পাড়ে জেগে ওঠা চরে জমেছে ময়লার পাহাড়। উপজেলায় আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় নদীর বুকে ময়লা রাখছেন সকলেই। বাসা-বাড়ি ও দু'পাড়ের ব্যবসায়ীরাদের রাখা বর্জ্যে ভরে উঠছে নদী। এই সুযোগে দখলবাজরা টিনের ঘর, পাঁকা-আধা পাঁকা ঘর নির্মাণ করে গিলে খাচ্ছে নদী। দখলদারদের নদী দখলের প্রতিযোগিতায় বিলীন হবার পথে একসময়ের খরস্রোতা বাসিয়া নদী।
বছর বছর একটু একটু করে নদী দখল হওয়ায় ক্রমেই সরু হয়ে আসছে নদী পথ। দু'পাড়েই রয়েছে সারি সারি অবৈধ স্থাপনা। কোথাও অবৈধ স্থাপনা জুড়ে বসেছে নদীর অর্ধেক। খোদ প্রশাসনের নাকের ডগায়ই চলছে নদী দখলের মচ্ছব। গেল বছর নদী খনন প্রক্রিয়া শুরু হলে একাট্টা হয় দখলদাররা। পরে অদৃশ্য ইশারায় দখলকৃত এলাকায় আসার পূর্বেই থমকে যায় খনন কাজ। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষকরা প্রতিবাদে নামেন। তবুও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়নি। দখল এলাকা খনন না করেই কাজ শেষ করে সংশ্লিষ্টরা।
পরিবেশবিদরা বলছেন, প্রকৃতি থেকে নদী হারিয়ে গেলে পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদী খনন করা না হলে অচিরেই বিপন্ন হবে বাসিয়া নদী।
এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, অচিরেই বর্জ্য ফেলার বিকল্প ঠিক করে নদী রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ