কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘চুড়ি নেবো গো, চুড়ি’ আমদের দেশের এক শ্রেণির লোক বাড়ি বাড়ি ফেরি করে এভাবেই চুড়ি বিক্রি করতেন। এখন সময় এসেছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুতের লোকজন বলবে বিদ্যু লাগবে গো, বিদ্যুৎ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার সময় ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রেখে গিয়েছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পেয়েছি। গত ৭ বছরে আমারা সেই বিদ্যুৎ ১৩ হাজার মেগাওয়াটে উন্নতি করেছি।
''আরো বিদ্যুৎ আসছে ভুটান, নেপাল ও ভারত থেকে। একই সাথে আমারাও দেশে পারমাণবিক ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরী করছি। তাই খুব শীঘ্রই ফেরিওয়ালার মত বিদ্যুতের লোকদেরও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফেরি করে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে।''
শনিবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা মাঠে বিদ্যুৎবিহীন ১৫শ' পরিবারে মধ্যে সোলার হ্যাজাক লাইট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যারা আজ দেশে হত্যা, হানাহানি, বোমাবাজি জঙ্গিবাদের পক্ষে কাজ করছে, তারা চাই বঙ্গবন্ধুর মতো তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যাতে দেশটাকে সুন্দর করে সাজাতে না পারে। দেশে জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তারা চেয়েছিল খালেদার ছেলে দেশে ফিরে আসুক। আবার লটুতরাজ শুরু করুক। দেশটা জাহান্নামে যাক। তাঁর ছেলে কাড়ি কাড়ি টাকা কামাক। আল্লাহ জালিমের দোয়া কবুল করেনা, মজলুমের দোয়া কবুল করে।
লৌহজং উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনি তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক হুইপ ও স্থানীয় এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল, পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ফকির আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রশিদ সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজনিন আক্তার স্বর্ণা।
বিডি-প্রতিদিন/২৮ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব
