যশোর সদর উপজেলার রহমতপুরে এবং অভয়নগর উপজেলার রানাগাতি এলাকায় পৃথক দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে'র ঘটনায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুটি ওয়ান শ্যুটারগান, কয়েকটি গুলির খোসা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে।
বুধবার ভোর রাত ও মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৃথক এই দুটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
অভয়নগর থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ভোর রাতের দিকে স্থানীয জিয়া বাহিনীর সাথে তুরা-নসো বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তুরা-নসো বাহিনীর প্রধান বিদ্যুতকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অভয়নগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান ও গুলির তিনটি খোসা উদ্ধার করে।
ওসি আরও জানান, বন্দুকযুদ্ধে নিহত বিদ্যুতের বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার রাত পৌনে তিনটার দিকে সদর উপজেলার রহমতপুরে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে ডাকাতদলের সাথে পুলিশের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এসময় পুলিশের তিন সদস্য আহত হন।
যশোর ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, ডাকাতরা সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমন খবর পেয়ে রহমতপুরে গিয়ে তারা সড়কের ওপর গাছের গুড়ি দেখতে পান। উপ-পরিদর্শক আবুর খায়ের দাবি করেন, পুলিশের গাড়ি দেখে ডাকাতরা গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। সেময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে এক ডাকাত লুটিয়ে পড়লে অন্যরা পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শ্যুটারগান, একটি দা, গাছা কাটার করাত উদ্ধার করা হয়।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় আহত ডিবি পুলিশের সদস্যরা হলেন- এসআই তোফায়েল আহমেদ, কনস্টেবল সিরাজুল ইসলাম ও রাসেল। তাদের প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/০২ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব