ভারতীয় শিখ পুণ্যার্থীদের গাড়িতে ডাকাতিতে অংশ নিয়েছিল ১১ পেশাদার ডাকাত। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্ত আরিফ হোসেন জয় এবং আরিফ হোসেন আরিফ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে এ তথ্য দেন। রবিবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোসাদ্দেক মিনহাজের আদালতে এ তথ্য দেন তারা।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দুই আসামি জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন ওই ডাকাতিতে ১১ জন অংশ নেয়। তাদের বাড়ি সীতাকুণ্ড ও আশপাশের এলাকায়। ঘটনার দিন তারা বাবুর বাড়িতে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করে। রাতে নুনাছড়া কলাবাড়িয়ার শিম ক্ষেতে লুকিয়ে থাকে শিকারের আশায়। এ সময় পুণ্যার্থীদের বহনকারী গাড়িটি আসে। প্রথমে ডাকাত দল একটি লোহার রড ছুড়ে মারে। তখন চালক গাড়িতে কোন ত্রুটি দেখা দিয়েছে মনে করে গাড়ি থামায়। এসময় ছুটে আসে ডাকাতদল। তারা আরোহীদের ছুরিকাঘাত করে। এসময় পুণ্যর্থীদের সঙ্গে থাকা ভারতীয় মুদ্রা, বাংলাদেশি টাকা, মোবাইল ট্যাবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাতদল।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের পুত্তিশীলা নামক স্থানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
শিখ ধর্মের প্রবর্তক গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে ৪০ জন শিখ ধর্মাবলম্বী নাগরিক সীতাকুণ্ডে গুরুদুয়ারা নানকশাহীতে আসেন। ৭ ডিসেম্বর রাতে অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফেরার পথে ডাকাতের কবলে পড়ে তারা। এসময় ছুরিকাঘাতে অমরজিৎ সিং (৬৫) ও মহেন্দ্র সিং (৬০) নামে দুইজন আহত হন।
পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আহতদের প্রথমে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/২০ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ