শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূরমোহাম্মদ কোতোয়ালের বাসভবনে হামলা করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরীয়তপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম কোতোয়ালের পক্ষে শরীয়তপুর ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রব মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহ-সম্পাদক ইকবাল হোসেন অপুসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুটি গ্রুপ নৌকা প্রতীকের পক্ষে মিছিল বের করে। মিছিলে নেতৃত্বে ছিলেন একাংশের কেন্দ্রীয় নেতা ইকবাল হোসেন অপু ও অপর অংশের নেতা নূরুল আমিন কোতোয়াল। মিছিলের পিছনে উভয় গ্রুপের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে।
পালং মডেল থানার সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রায় আধাঘণ্টা সংঘর্ষ চলাকালে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া চলতে থাকে। এ সময় সংঘর্ষকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নূরমোহাম্মদ কোতোয়ালের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তার বাড়ির দরজা-জানালা ভেঙে যায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপে ইলিয়াছ, প্রকাশ, দ্বীন ইসলাম, সুজন পাহাড়, নূর মোহাম্মদ কোতোয়ালে স্ত্রী ওসিতুন্নেছা ও পূত্রবধূ আয়েশা খাতুনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এম মজলিস খান বলেন, ‘এ ঘটনায় পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দল নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
বিডি-প্রতিদিন/ ২১ ডিসেম্বর ১৫/ সালাহ উদ্দীন