পাবনা জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড থেকে ২ দিন বয়সী এক নবজাতক কন্যা শিশু চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে শিশু চুরি আতংক বিরাজ করছে।
হাসপাতালের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, ‘গত রবিবার পাবনা সদর উপজেলার খয়েরসূতি গ্রামের সৌদি প্রবাসী উকিল উদ্দিনের স্ত্রী শেলী খাতুন এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মঙ্গলবার রাতে নবজাতকের দাদী হালিমা খাতুনের নিকট থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক মহিলা কৌশলে বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে আদর করতে থাকে। এক পর্যায়ে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে বাচ্চাটি নিয়ে পালিয়ে যায় সে। বিষয়টি নিয়ে তাত্ক্ষণিক তাদের স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানা পুলিশকে অবহিত করে। পাবনা সদর থানা পুলিশ খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধারের জন্যে পাবনার বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও চিকিৎসকের চেম্বারে তল্লাশি অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান ওসি।
সৌদী প্রবাসী উকিল উদ্দিন ও শেলী দম্পতীর সংসার জীবনের ৭ বছর পর জন্ম নেয়া শিশু সন্তানকে হারিয়ে কন্যা শিশুর মা ও দাদী বাকরুদ্ধ হয়ে পরেছেন।
এ ঘটনার পর থেকে পাবনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ওয়ার্ডে শিশু চুরি আতংক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে শিশুটির নানী ফরিদা খাতুন জানান, বিয়ের অনেক দিন পর এই শিশুটির জন্ম হলো, অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে শিশুটি হারিয়ে গেলো। আমরা আমাদের শিশুটিকে ফিরে পেতে চাই।’
এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের একাধিক রোগীরা জানান, পাবনা সদর হাসপাতালে শিশু চুরি হওয়ার কারনে আমরা আজই এখান থেকে চলে যাব। কেননা হাসপাতালে বেশী লোক নেই, ওষুধাদি ক্রয় করাসহ বিভিন্ন কাজে অনেক সময় এদিক সেদিক যেতে হয় শিশু বাচ্চাকে রেখে। অনেক সময় শিশুর মা তো ঘুমিয়ে থাকে। তাই চুরি হওয়ার আতংকে আমরা চলে যাচ্ছি।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক শ্যামল কুমার বসাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের লোক সংখ্যা অনেক কম। আমি এনেসথেসিয়া বিভাগে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় প্রশাসনিক কাজে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। কোনো উপায় না পেয়ে এই অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। বিষয়টি সত্যিই বেদনাদায়ক। তবে সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেছি, বরাদ্দ পেলেই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/২৩ ডিসেম্বর ২০১৫/শরীফ