লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নারী চিকিৎসক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ সময় ওই চিকিৎসককে বাঁচাতে এলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দু‘জন কর্মচারীকেও মারধর করে ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ (২৮)।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফরহাদকে আটক করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতীবান্ধা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে প্রতিদিনের মতো রোগী দেখছিলেন ডা. স্বপ্না রানী। এ সময় হাতীবান্ধার সিন্দুর্না ইউনিয়নের কলেজপাড়া এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে ও ছাত্রলীগ কর্মী ফরহাদ হঠাৎ সেখানে ঢুকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক রোগীকে সেবা না দেয়ার অভিযোগ তুলে গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে ফরহাদ নারী চিকিৎসক স্বপ্না রানীকে লাঞ্ছিত করলে আশপাশের কর্মচারীরা ছুটে আসে। এতে হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী আজমীর ও আক্তার ওই ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে মারধরের শিকার হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরহাদকে হাতে নাতে আটক করে।
হাতীবান্ধা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. স্বপ্না রানী বলেন, আমাকে অর্তকিতভাবেই হামলা করে ফরহাদ নামের ওই ছেলেটি। এনিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে থানায় অভিযোগ দাখিল করা হবে।
হাতীবান্ধা থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম বলেন, হাসপাতালের কর্তব্যরত এক নারী চিকিৎসক মারধরের উদ্যত হওয়ায় ফরহাদকে আটকের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/২৪ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব