ফেনীর মহিপালে সম্পত্তির দখল নিতে আসা দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া গুলিতে শিশু ও স্কুল ছাত্রীসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় ব্যবহৃত সটগান, বন্দুক ও ৩৮ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে গ্রেফতারকৃত দুই আসামি একরাম ও আরিফ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, রবিবার দুপুরে মহিপাল চৌধুরী বাড়িতে অভিযান চালিয়ে স্বপন চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটি সটগান ও ২৩ রাউন্ড কার্তুজ ও মিঠু চৌধুরীর বাড়ি থেকে একটি বিদেশি বন্দুক ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যাকান্ডে এই দুটি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা কার্তুজের খোসা ও জব্দ করা কার্তুজ একই ব্রান্ডের। তবে অস্ত্র দুটি লাইসেন্স করা বলে তিনি জানান। এদিকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ শহরের হাজারি রোড থেকে দিহান ও মহিপাল টার্মিনাল এলাকা থেকে আজিজ নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে গ্রেফতারের সংখ্যা নয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে মহিপাল হেঞ্জু হাজি বাড়িতে ৬২শতক জমির দখল নিতে ৪০-৪৫ জন দুর্বৃত্ত প্রকাশ্যে ৭-৮টি সটগান ও বন্দুক দিয়ে শতাধিক গুলি ছোঁড়ে। এসময় নবম শ্রেণির ছাত্রী আকলিমা আক্তার (১৫) ও তার খালু মাঈনুদ্দিন (৫৫) ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ (৬) নিহত হন। ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর মাঈনুদ্দিনের ছেলে নয়ন ফেনী মডেল থানায় মান্নান, জহির চৌধুরী, স্বপন চৌধুরী, মিঠু চৌধুরী, সাহেদ চৌধুরী ও ফারুক চৌধুরীসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ ডিসেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ