নাটোরের সিংড়ায় খান জাহান (৭) নামের এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার ফুফাতো ভাই হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিশুর ফুফুসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোর রাতে সিংড়া থানা পুলিশ উপজেলার দুর্গম পল্লীর আগমুরশন গ্রামের সাবেক দুলাভাইয়ের বাড়ি থেকে নিহত শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
এবিষয়ে নিহতের পিতা আবু তালেব বাদী হয়ে বোন হেলেনা বেমগ ও ভাগ্নে হেলালসহ ৫ জনকে আসামী করে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
নিহত শিশু খানজাহান আগমুরশন গ্রামের কৃষক আবু তালেবে ছেলে এবং আগমুরশন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
সিংড়া থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশুর বড় বোন রোকেয়া বেগমের ফুফাতো ভাই হেলালের সাথে বিয়ে হয়। পরে বিয়ের তিন বছর পরে তাদের পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ ঘটে। এই বিরোধের জের ধরে প্রায় ছয় মাস আগে মামাতো ভাইয়ের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ফুফাতো ভাই হেলাল উদ্দিন। এ বিষয়ে সিংড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে তা গ্রাম্য শালিসে তা মিমাংসা হয়। এরপর থেকেই বিভিন্ন সময় সাবেক দুলাভাই ওরফে ফুফাতো ভাই প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার মামাতো ভাই শিশু খানজাহানকে গোপনে বাড়িতে নিয়ে গোলা টিপে হত্যা করে তার মায়ের ঘরে বস্তার ভেতরে লাশ রেখে দেয়। পরে এলাকাবাসী মিলন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।
সিংড়া থানার ওসি নাসির উদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত তিনজন আটক করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব