চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে ডুবে যাওয়া রবিন নামের ট্রলারটি তিন দিন পর পাওয়া গেছে। তবে শিশুসহ ৮ যাত্রীর খোঁজ এখনো মেলেনি। বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মাঝেরচর এলাকায় মাঝনদীতে প্রায় ৪০ ফুট গভীরে ট্রলারটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়।
নিখোঁজ যাত্রীরা হলেন- ফাহিম (২০), মানিক (৪), রতন (২), নারগিস (৩০), শাহজাদী (২০), আলেয়া (২৬), সিয়াম (৮) ও স্বর্ণা (৪)। তাদের বাড়ি হাইমচরের বিভিন্ন এলাকায়।
নৌবাহিনীর ডুবুরি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং বিআইডব্লিউটিএ'র যৌথ উদ্যোগে যাত্রী ও ট্রলারের সন্ধান করা হয়। ট্রলারটি থেকে একটি কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ যাত্রীদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ট্রলারটির জায়গা চিহ্নিত করে এদিন উদ্ধার কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে আসেন উদ্ধারকারীরা। সন্ধান পাওয়া ট্রলারটি তোলার জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মাহফুজ উল আলম সজল জানান, দুর্ঘটনাস্থল মাঝেরচরে মেঘনা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ও গভীরতা অনেক। স্রোতের কারণে নিখোঁজ যাত্রীদের কাউকে ট্রলারে কিংবা এর আশপাশে পাওয়া যায়নি। ডুবুরিরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন।
জানা গেছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারটির বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ট্রলারটির মালিক কাদের সর্দার। তার বাড়ি চরভাঙ্গা এলাকায়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে হাইমচরের তেলিরমোড় এলাকা থেকে অর্ধশত যাত্রী নিয়ে রবিন নামের ট্রলারটি ঈশানবালার দিকে যাত্রা করে। ঘন কুয়াশার মধ্যে ট্রলারটি একটি মালবাহী জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মেঘনায় মাঝনদীতে ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও আট যাত্রীর সন্ধান মেলেনি।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ জানুয়ারি ২০১৬/ এস আহমেদ