নাটোরের বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌরসভার কালিকাপুর এলাকায় হত্যা চেষ্টার শিকার খ্রিস্টান দম্পতির শারিরীক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন না। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের জ্ঞান ফিরলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা হাসপাতালে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন।
এদিকে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বনপাড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলো-উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের ইউনুস কবিরাজ (৩১), লিটন (৩০), বাচ্চু কসাই (৩৮), শাহজাহান (৫৫), বাবু (৩০), কাচুটিয়া গ্রামের উজ্জ্বল ওরফে রুবেল পাঠান (২৪), মহিষভাঙ্গা গ্রামের নাজমুল (৫০) ও মালিপাড়া গ্রামের জিয়া (৩০)।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই দয়াল কুমার ব্যানার্জি জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক তল্লাাশী চালিয়ে তাদেরকে সন্দেহভাজন হিসাবে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আহত দম্পতির মেয়ে ডা. নীলা কস্তা জানান, দুর্বৃত্তরা তার মা ও বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছে। আমার বাবা-মা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলেও এখনো সব কথা সঠিকভাবে বলতে পারছেন না। তাই কেন এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না।
বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের স্বত্ত্বাধিকারী ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, তাদের অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। তাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এবং হামলাকারীদের মারপিটের কারণে শারীরিক দুর্বলতা থাকায় তারা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি (তদন্ত) এমরান হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত ৮টার দিকে ৬/৭ জনের একদল দুর্বৃত্ত আত্মীয় পরিচয়ে গাব্রিয়েল কস্তার (৭১) বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রী বীণা পিরিচের (৬৫) ওপর হামলা চালায়। তারা উভয়েই বর্তমানে বনপাড়া পাটোয়ারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জানুয়ারি ১৬/ সালাহ উদ্দীন