হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার জন্য ৮ বছরের শিশু মেহেদী হাসান রাসেল হত্যার দায়ে আব্দুর রশিদ (৩৫) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাফরোজা পারভীন এ রায় প্রদান করেন। এসময় মামলার অপর দুই আসামী সিরাজ মিয়া ও সালেহ আহমেদকে খালাস দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল আহাদ ফারুক জানান, ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর আব্দুর রশিদ মেদেহিকে হত্যা করেন। এ অভিযোগ এনে ৯ অক্টোবর শিশু মেহেদির মা বাদী হয়ে রশিদকে প্রধান আসামিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ আব্দুর রশিদসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। বিজ্ঞ বিচারক ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন। এসময় রশিদ ও সিরাজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর বানিয়াচং উপজেলার ত্রিকর মহল্লা’র প্রবাসী আব্দুল হামিদের ছেলে বানিয়াচং চৌধুরী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতয়ি শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান রাসেল কাছ থেকে মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয়ার জন্য একই গ্রামের আব্দুর রশিদ তাকে হত্যা করে পাশের মুক্তার জঙ্গলে কাদা মাটিতে পুঁতে রাখে। পরদিন তাকে আটকের পর ওই স্থান থেকে মেহেদী’র মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মেহেদী’র মা স্বপ্না বেগম বাদী হয়ে আব্দুর রশিদসহ ৩ জনকে আসামি করে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালত আব্দুর রশিদের উপস্থিতিতে তার মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। তবে দোষী সাব্যস্থ না হওয়ায় সিরাজ মিয়া ও সালেহ আহমেদকে অব্যাহতি দেয়া হয়। রায়ের সময় সালেহ পলাতক ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/০১ মার্চ, ২০১৬/মাহবুব