বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার ৪০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মামলা, হামলা ও প্রাণহানির আতঙ্কে তাদের দিন কাটছে। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী রয়েছেন ১৬ জন। এই দুই উপজেলায় বিএনপির কর্মী সমর্থকসহ ভোটের দিন কেন্দ্রে না এসে তাদের সকল ভোটারদের ঘরে থাকার ও প্রার্থীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা। এমনকি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা স্বাভাবিকভাবে ভোটের প্রচারে নামতে পারছেন না।
আজ রবিবার মোরেলগঞ্জের ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হোগলাবুনিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আকরামুজ্জামান ও বারুইখালী ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী এফ.এম শামীম আহসান এবিষয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন জেলা ও উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে। নির্বাচন অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নে আজ রবিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান খান মতিয়ার রহমানকে ধাওয়া এবং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মমিন হাওলাদারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মারা। মতিয়ার রহমান থানায় আশ্রয় নিয়ে জীবন বাঁচান। এরপর তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তিনি শরণখোলা থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন। একই উপজেলায় শনিবার রায়েন্দা সদর ইউনিয়ন বিএনপির প্রার্থী ফরিদ উদ্দিন মানিক ও মোরেলগঞ্জের বারইখালী ইউনিয়ন বিএনপির প্রার্থীর প্রচার মাইক ভেঙ্গে খালে ফেলে দিয়েছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা। শরণখোলার সাউথখালী ও ধানসাগর ইউনিয়ন বিএনপির প্রার্থীরা আছেন অবরুদ্ধ অবস্থায়। মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলায় বিএনপির সকল কর্মী সমর্থকদেরকে ঘর থেকে বাইরে না বের হওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা