মাগুরা সদরের কছুন্দি এলাকায় সোমবার ভোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমিনুল ইসলাম লিটন নামে এক ডাকাত নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। এসময় আহত হয়েছেন ৪ পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাইন এমএম পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন, রামদা, চাপাতি উদ্ধার করেছে।
নিহত লিটন সদর উপজেলার আজমপুর গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি ঘটনার একদিন আগে শনিবার সকালে পুলিশ শহরের ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। পরে সোমবার লোক মারফতে খবর পেয়ে সদর থানায় এসে তারা লাশ শনাক্ত করে।
পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহ জানান, সোমবার ভোররাতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কছুন্দি এলাকায় একদল ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে যানবহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে টহল পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছালে ডাকাতরা পুলিশের উপর গুলি চালায়। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দল পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য আমিনুল ইসলাম ওরফে লিটন ডাকাতের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখে। লাশের পাশ থেকে পুলিশ একটি নাইন এমএম পিস্তল, ৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ও ৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি ম্যাগজিন, ২ টি রামদা, ১টি, চাপাতি, গাছকাটা করাত, সাবল উদ্ধার করে।
এসময় তাজ উদ্দিন, কামরুল ,মামুন ও লাল মিয়া নামে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে পুলিশ দাবি করেছে। তাদের মাগুরা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বন্দুক যুদ্ধে নিহত ডাকাত সর্দার লিটনের নামে মাগুরা সদর থানা ও কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালতে তার ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি ও সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে শনাক্ত ও পরে গ্রেফতার বাবুল ডাকাত ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানকালে মাগুরায় সংঘটিত একাধিক ডাকাতির সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা বলেছে বলে তিনি আরো জানান ।
এদিকে, নিহতের ভাতিজা জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, লিটনের নামে একটি মাত্র ডাকাতি মামলা আছে। সেটিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। গতকাল রবিবার তার মালয়েশিয়া চলে যাবার কথা। তাই তিনি শনিবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়। মাগুরা ঢাকা রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে আজ সোমবার সকালে তারা লোক মারফত খবর পেয়ে সদর হাসপাতাল মর্গে লাশ শনাক্ত করে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মার্চ, ২০১৬/ রশিদা