পটুয়াখালী সদর উপজেলার মরিচবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
উভয় গ্রুপের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী হামলা পাল্টা হামলার পর তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৩০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কামরুল নামের এক যুবককে এলাপাথারী কুপিয়ে তার বাম হাত ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থী।
আজ সোমবার বিকাল ৫টার দিকে ওই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে বাড়োঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা ইউনিয়ন জুড়ে সাধারন মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গুরুতর অবস্থায় নৌকার প্রার্থী মোঃ দেলোয়ার হোসেন মৃধা গ্রুপের মোজাম্মেল হোসেন (৪৫) আমীর হোসেন (৩৭) সঞ্জয় কুমার দাস(৩৫) এবং বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন প্যাদা গ্রুপের আব্দুল রাজ্জাক প্যাদা (৪৫) খলিল প্যাদা(৫০), জয়নাল প্যাদা ও কামরুল ইসলাম প্যাদা (৩০) সহ আটজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া কিশোর দাস ও শ্যামল চন্দ্র (৪০) আহত হওয়ার খবর জানা গেছে। বাকি আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
জানা গেছে, আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকরা বাড়োঘর এলাকায় নৌকা প্রতিকের সমর্থনে বিদ্রোহী প্রার্থীর বাড়ির পাশে মাইকে প্রচারণা চালাচ্ছিল। এসময় বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান জাকির প্যাদার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে নৌকার প্রচারনায় ব্যবহৃত মাইক ও এর যন্ত্রাংশ ভাংচুর করে। খবর পেয়ে উভয় গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ঘন্টাব্যাপী হামলা পাল্টা হামলা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপাতি ও মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, নৌকা প্রতিকের পক্ষে মাইকে প্রচারণার সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকে মারধর করে মাইক ভেঙ্গে ফেলেছে।
সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ কেএম তারিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে জানানো যাবে মোট কতজন আহত হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৭ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন