খাগড়াছড়ির গুইমারার বড়পিলাক এলাকায় পাষণ্ড স্বামী সাবের আলী তার স্ত্রী ও ৬ মাসের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। জানা গেছে, মোটরসাইকেল কেনার জন্য শ্বশুড় বাড়ি থেকে টাকা না পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী মাজিদা বেগম (২২) ও ৬ মাসের সন্তান রিদোয়ানকে হত্যা করে সাবের আলী (২৭)। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ স্বামী সাবেরসহ শ্বশুড় মাহবুব আলম, শ্বাশুড়ি রেনু বেগম ও দেবর শাহজাহানকে আটক করেছে।
গুইমারা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তা আত্মীয়স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের পিতা শাহাব উদ্দিন জানান, তিন বছর আগে একই এলাকার মাহবুব আলমের ছেলে সাবের আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় তার মেয়ে মাজিদা বেগমের। অত্যন্ত ঝাঁকঝমকপূর্ণভাবে এ বিয়ে হয়। বিয়ের এক মাস যেতে না যেতে সাবের নানাভাবে যৌতুক দাবী করে। সর্বশেষ মোটরসাইকেল কেনার জন্য ১ লক্ষ টাকা দাবী করে। এ টাকার জন্য আমার মেয়েকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে। শেষে আমার মেয়ে ও নাতিকে নৃশংসভাবে সাবেরসহ শ্বশুড় শ্বাশুড়ি দেবররা মিলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আমি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি। এ ঘটনায় নিহতের পিতা শাহাব উদ্দিন গুইমারা থানায় আটক চারজনকে আসামী করে হত্যা মামলা রুজু করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/২৩ মার্চ ২০১৬/শরীফ