নোয়াখালীর মানসিক ভারসাম্যহীন আদরী নামের এক নিখোঁজ মেয়েকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে শনিবার দুপুরে নোয়াখালী বিআরডিবি মিলনায়তনে যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শামীম আহমেদ ও সহকর্মীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে আদরীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় নোয়াখালী পৌর মেয়র মো: হারুনুর রশিদ আজাদ, নোয়াখালী পৌর বণিক সমিতির সভাপতি সাইফুদ্দিন সোহান সহ অনুষ্ঠানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালের ১৭ আগষ্ট ঢাকার পল্টন মোড়ে রাস্তা পার্শ্বে ছেঁড়া কাপড়ে জড়ানো মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় মেয়েটিকে দেখেন যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শামীম আহমেদ। পরবর্তীতে সে তার ব্যাংকের সহকর্মী আলী সাব্বির সহ অন্যদের সাথে পরামর্শ করে মেয়েটিকে সু-চিকিৎসা দেওয়ার জন্য পল্টন মডেল থানা ও জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট হাসপাতালে যোগাযোগ করেন।
পরে ঐ বছরের ৭ নভেম্বর পল্টন থানা পুলিশের সহযোগিতায় মেয়েটিকে শেরে-ই-বাংলা নগর জাতীয় মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তিকালে মেয়েটির পরিচয় জানা না থাকায় শামীম আহমেদ তার নাম রাখেন আদুরী এবং তার দেখাশুনার জন্য হাসপাতালে জরিনা নামে এক মহিলা নিয়োগ দেন।
জানা যায়, মেয়েটির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার মাইজদী লক্ষ্মীনারায়ণপুরে। তার বাবা আলাউদ্দিন একজন রিক্সা চালক।
এর আগে মেয়েটি নোয়াখালী পৌরসভার মেয়রের বাসায় কাজ করত।
এ ব্যাপারে ঢাকাস্থ যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার শামীম আহমেদ জানান, মানবিক বোধ থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন এই মেয়েটিকে জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে আমার বন্ধুদের নিয়ে কিঞ্চিত চেষ্টা করেছি যেন আমাদের এ কাজটি দেখে মানুষ উদ্ধুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত হয়ে রাস্তা ঘাটে কোন পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন লোককে অনাদর-অবহেলা না করে এবং তাদের প্রতি মানবিক আচরণ করে।
বিডি-প্রতিদিন/০৯ এপ্রিল ২০১৬/ হিমেল-১৩