টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীর যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থী গত জানুয়ারি মাসে ভর্তি হন। এরপর থেকেই অধ্যক্ষ নানাভাবে তাঁকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। তিনি নানা অজুহাতে মেডিকেল কলেজের পিয়ন নয়নকে দিয়ে ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে অশালীন কথা-বার্তা বলে কুপ্রস্তাব দেন।
গত মাসের মাঝামাঝি তাঁর কার্ড পরীক্ষা (মেডিকেল পরীক্ষা) ছিল। কিন্তু যৌন হয়রানীর কারণে তিনি পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ি চলে যান। গত মাসের ২৪ তারিখে সাপ্লিমেন্টারি কার্ড পরীক্ষায় (২৭ মার্চ) অংশ নিতে লিখিত আবেদন করে ছাত্রী নিবাসে থেকেই পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করে তিনি পুনরায় বাড়ি চলে যান। গত ৩ ও ৪ এপ্রিলও তিনি পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকেন। গত মঙ্গলবার ওই ছাত্রী তাঁর মায়ের সাথে কুমুদিনী চত্বরে আসেন। সেখানে তাঁর মা কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালকের কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন।
গত শনিবার ও রবিবার কুমুদিনী চত্ত্বরে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুনা গেছে। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ওই শিক্ষার্থীর স্বজনরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে বিষয়টি নিয়ে গত শনিবার ঢাকায় কুমুদিনী কল্যাণ সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভা হয়েছে বলে জানা গেছে।
অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম যৌন হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ''মেয়েটি অসুস্থ। একজন চিকিৎসক হিসেবে আমি তাঁকে চিকিৎসা করেছি। তবে কি কারণে সে এ ধরনের অভিযোগ করছেন তা আমার বোধগম্য নয়।''
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ