লক্ষ্মীপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে ফাতেমা আক্তার জিরু নামের এক গৃহবধূকে শ্বশুরবাড়িতে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার বিকেলে সদর উপজেলার মধ্য চর রমনী মোহন এলাকা থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
স্বামী জসিম উদ্দিন ও শ্বশুরবাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে।
নিহত ফাতেমার মা পারভীন আক্তার, বাবা শাহাবুদ্দিন ও পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে ওই এলাকার জসিম উদ্দিনের সঙ্গে ফাতেমা আক্তার জিরুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর যৌতুকের টাকা নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। ইতোমধ্যে যৌতুকের দাবিকৃত দুই লক্ষ টাকা দেওয়া হলেও পারিবারিক কলহ থামেনি তাদের। সর্বশেষ শনিবার দিবাগত রাতে ফাতেমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যার পর লাশ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন নিহতের মা-বাবা।
রবিবার সকালে ফাতেমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তার মা-বাবাকে জানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে দুপুরের দিকে জসিমদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ের একটি গাছে ফাতেমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা।
বিকেলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা নেওয়া হলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. রেজাউল।
বিডি-প্রতিদিন/১০ এপ্রিল ২০১৬/ এস আহমেদ