লক্ষ্মীপুরে চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। চাচাতো ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর ভাই শিব্বির আহমদ বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের দাসের হাট বাজারের ৩য় তলা একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকেই জামাল উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
বর্তমানে ভিকটিমের চিকিৎসা ও মেডিকেল রিপোর্টের জন্য তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকামুক্ত হলেও শারীরিক অবস্থা অনেকটা অসুস্থ্য বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আর এম ও ডা. মো. আনোয়ার হোসেন। আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মেডিকেল রিপোর্ট দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ, ভিকটিম ও ভিকটিমের পরিবার জানায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের রূপাচরা সফি উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণী পড়ুয়া ওই ছাত্রী খাতা ও কলম কেনার জন্য বাড়ি সংলগ্ন দাসেরহাট বাজারে যায়। পরে সে বাড়ি ফেরার পথে তার চাচাতো ভাই স্থানীয় দাসেরহাট বাজার কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা জামাল এবং তার এক সহযোগী ওসমান তাকে কৌশলে বাজারের পাশে জামালের ৩য় তলা বিশিষ্ট একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এসময় জামাল ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকী দেন বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গণমাধ্যমকে জানান ওই ছাত্রী। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হলেই পালিয়ে যায় জামাল। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে, অভিযুক্ত জামাল প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে ভিকটিমের বোন রিনা আক্তার অভিযোগ করেছেন।
লক্ষ্মীপুরের সহকারি পুলিশ সুপার (সদর) মো. জুনায়েত কাউছার জানান, স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জামাল উদ্দিন ও তার সহযোগী ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নেয়া হয়েছে। ভিকটিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু জানান, চরশাহী ইউনিয়নে যুবলীগের কোন কমিটি নেই। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত জামাল উদ্দিন সাবেক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে তিনি দাবি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল, ২০১৬/মাহবুব