অপহরণের ৭ দিন পার হলেও নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বেগম রোকেয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পপি আক্তারকে (১৪) উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। পপি বনপাড়া পৌরসভার পশ্চিম মালিপাড়া এলাকার জালাল গাজীর মেয়ে।
এদিকে উদ্ধার তৎপরতায় পুলিশের গাফলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অপহৃত ঐ স্কুল ছাত্রীর পরিবার। গত ১১ এপ্রিল দুপুরে টিফিনের বিরতিতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পপি আক্তারকে স্থানীয় চিহ্নিত কয়েক যুবক প্রকাশ্যে অপহরণ করে। পরে অপহৃতের মা ছকিনা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ৫ দিন আগে ঘটনার সাথে জড়িত ২ জনকে আটক করে জেল-হাজতে প্রেরণ করলেও তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে কোন রিমান্ডের আবেদন করেননি। উদ্ধার চেষ্টায় পুলিশী তৎপরতার গাফলতি দেখে পুলিশের প্রতি আস্থাহীন ও হতাশ হয়ে পড়েছে পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য আত্মীয়স্বজন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে পার্শ্ববতী লালপুর উপজেলার গুদরা গ্রামের মৃত হাসেম আলীর ছেলে মো. হোসেন (২২) ও মো. শাহীন (২৮), বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার পূর্ব মালিপাড়া মহল্লার লতিফ মজুমদারের ছেলে মো. লিটন (২৫) সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন তার মেয়েকে একটি কালো হাইয়েস মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে তারা জানতে পারে মাইক্রোবাসটির ড্রাইভার বনপাড়া পৌরসভার সর্দারপাড়ার সানু খার ছেলে রাসেল। মামলার ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন শাহীনকে ও তার একদিন পর লিটনকে আটক করলেও রহস্যজনক কারণে ওই ড্রাইভারকে আটক করেননি।
অপহৃত পপি আক্তারের বড়বোন সাদিয়া ইয়াসমিন সাথী জানান, যারা তার বোনকে তুলে নিয়ে গেছে তারা এলাকার বখাটে ছেলে। তার বোন কোথায় আছে তা পুলিশ জানা সত্ত্বেও রহস্যজনক কারণে উদ্ধার করতে গাফলতি করছে। সাথী তার বোনকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুর জানান, অপহৃতকে উদ্ধার করতে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে মাইক্রোবাসের ড্রাইভারকে কেন আটক করা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ওই ড্রাইভার ঘটনার সাথে জড়িত আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে তদন্ত চালানো হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকলে তাকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল, ২০১৬/ হিমেল-১১