বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগে শনিবার রাতে ৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রাত ১১টার দিকে পুলিশ একটি শালিস বৈঠক থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার ও দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন বদনীভাঙ্গা গ্রামের মহরাজ বেপারীর ছেলে মামুন বেপারী (১৭) ও নেছার শেখের ছেলে মানিক শেখ (১৬)। অপর ধর্ষক সানকিভাঙ্গা গ্রামের ফজলু হাওলাদারের ছেলে বেল্লাল (১৮) পলাতক রয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে আজ রবিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানার ওসি তদন্ত তারক বিশ্বাস মামলার বরাত দিয়ে বলেন, গত মঙ্গলবার নানাবাড়ি থেকে ফেরার পথে কিশোরীকে মুখ বেধে একটি বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে মামুন, মানিক ও বেল্লাল। ডাকচিত্কার শুনে স্থানীয়রা তাকে গুর’তর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়।
ধর্ষকদের ১ জন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অপর ১ ধর্ষক জামায়াত নেতার আত্মীয় হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে ওইদিনই শুর’ হয় শালিস বৈঠকে মীমাংশার তত্পরতা। পরপর দু’দফা শালিস বৈঠকে বসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. মোকলেছ হাওলাদার ও সাবেক মেম্বার জামায়াত নেতা মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শহিদুল ইসলাম।
মেয়েটির পিতা বারইখালী গ্রামের দিনমজুর কবির শেখ বলেন, বৈঠকে ধর্ষক মামুন ও মানিককে লাঠিপেটা করা হয় এবং মেয়েটির ক্ষতিপূরণ বাবদ ৬০ হাজার জরিমানার রায় দেন আওয়ামী লীগ ও জামায়াত নেতা। এই রায় কার্যকরের জন্য শনিবার পুনরায় ২ ধর্ষক ও তার অভিভাবকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নেতারা। এই বৈঠকে ডাকা হয় সংশ্লিষ্ট ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. আকরামুজ্জামানকেও। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরে ধর্ষকদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৬/শরীফ